বিপজ্জনক টক্কর থেকে অল্পে রক্ষা দুই বর্জ্য স্যাটেলাইটের
৩০ জানুয়ারি ২০২০ ১২:২২
অতি অল্পে রক্ষা, কান ঘেঁষে চলে গেলো, কোনওরকম বেঁচে গেলো…. এসব কথাই বলা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে। দুটি ঘুমন্ত স্যাটেলাইট মহাকাশে সংঘর্ষ হতে পারতো বৃহস্পতিবার ভোরে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছিলেন, এড়ানো যাবে না এই সংঘর্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৫ মিটার (৮২ ফুট) দূরত্ব থেকে স্যাটেলাইট দুটি ছুটে গেলো দুদিকে।
স্যাটেলাইট দুটির নাম আইরাস ও জিজিএসই-৪। এ দুটি ঘুমন্ত স্যাটলাইট। এবং মহাকাশে বর্জ্য বলেই পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছিলো বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটের দিকে দুই স্যাটেলাইটে টক্কর লাগবে। মহাকাশে এ ধরনের পরিত্যাক্ত স্যাটেলাইটগুলো ট্র্যাক করে এমন সংস্থা লিওল্যাবস বিষয়টিতে আগে থেকেই নজর রাখছিলো। আর দুটি স্যাটেলাইটের গতিবিধি নিরীখে তারা ধারণা করছিলো সংঘর্ষ হতে পারে। আর সেটা হলে পৃথিবীতে তার ফল হতো সুদুরপ্রসারি।
গত বুধবার লিওল্যাবস’র টুইটটি ছিলো এরকম: ‘আইরাস’ ও ‘জিজিএসই-৪’ উপগ্রহ দু’টি নূন্যতম দূরত্বে চলে আসছে। ১৫ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বে এসে পড়বে দুটি স্যাটেলাইট। তখন এ দুটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ কিলোমিটার উপরে থাকবে। নাসার পক্ষ থেকেই এই তথ্যে সমর্থন দেওয়া হয়েছিলো।
তবে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অনেকটা কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে দুটি স্যাটেলাইট।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে সাধারণত উৎক্ষেপণের সময় একটি বিষয় খুব দেখা হয় যাতে মহাকাশে স্যাটেলাইটটি কোনও ভাবে অপর একটি স্যাটেলাইটের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে এসে না পরে। সেটা হলে মহাকাশযানগুলো বিপদে পড়বে। দুটি স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে এমনটা কেনো হলো তা এখন ঘেঁটে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য আইরাস নামের স্যাটেলাইটটি ১৯৮৩ সালের ২৫ জানুয়ারি মাত্র ১০ মাসের একটি মিশনে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের একটি যৌথ প্রকল্প ছিলো। আর জিজিএসই ৪ মহাকাশে পাঠানো হয় ১৯৬৭ সালে। যা ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সচল ছিলো। কার্যক্ষমতা হারিয়ে এখন মহাকাশের বর্জ্য হিসেবেই ঘুরছে দুটি স্যাটেলাইটই।