ঢাকা: কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার।
রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এতে বলা হয়, মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। দিন-রাত নিয়মিত টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।
এর আগে, ২২ জুলাই এ নিয়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়ে আগামী ১২ আগস্ট কুমিল্লার এসপি নাজির আহমেদকে ডেকেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে এর আগেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
ওই সময় সাংবাদিকদের আইনজীবী নুরুন্নবী বলেন, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের অগ্রগতি নিয়ে গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টকে লিখিতভাবে জানানোর কথা ছিল কুমিল্লার এসপিসহ অন্যান্যদের। কিন্তু তারা কেউ হাজির হননি। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। পরবর্তীতে রোববার তারিখ থাকলেও কেউ আসেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার এসপিকে আগামী ১২ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, ২৯ জুন ধর্ষণের শিকার নারীর নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মীর একেএম নুরুন্নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
নুরুন্নবী বলেন, কুমিল্লার আলোচিত এ ঘটনা নিয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ ১৪ জুলাই মামলাটির অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ায় জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেবে বলে জানিয়েছেন।