Thursday 16 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৭ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্ক শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল প্যানেলে তিনি এ আবেদন জানান। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের শাস্তির বিষয়টি আদালতের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেন রাষ্ট্রপক্ষের এই প্রধান প্রসিকিউটর।

বিজ্ঞাপন

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি একবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে ১ হাজার ৪০০ মানুষের হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। তবে আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এই কারণে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন করছি। এ দণ্ড কার্যকর হলে দেশের জনগণ ন্যায়বিচার পাবে বলেও জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, অপরাধীদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহিদ ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। আগামী সোমবার এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। সেটি শেষ হলে মামলাটি রায়ের দিকে যাবে।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-এর মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর