ঢাকা: শুধুমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যেন এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর গত ১৭ জুলাই একটি স্মারকের মাধ্যমে শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন সম্প্রতি একটি রিট দায়ের করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি চলাকালীন ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে ওই স্মারকের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেছিলেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়, কেন ১৭ জুলাইয়ের স্মারক আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং কেন ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হবে না।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করা হয় এবং হাইকোর্ট রায় দেন যে বেসরকারি শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।