ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, আসামি ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:০৩
ঢাকা: রূপালী ব্যাংকের পনের কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি আবু বোরহান চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পুলিশ প্রধান, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও সকল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির কথাও বলেছেন আদালত।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ১৫ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে বলেছেন আদালত। আসামী আবু বোরহান চৌধুরীকে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রাহকের মিথ্যা ভুয়া সনদ যাচাই না করে পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিরা অপরাধ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। তারা বিক্রিত জমি ও ফ্ল্যাট অবিক্রিত হিসেবে প্রদর্শন করে ও বন্ধক দেখিয়ে ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ পূর্বক পনের কোটি টাকা গ্রাহকের নামে বিতরণ করে তা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনের ৪০৯/১০৯ ও দুদক আইনের ৫(২) ধারায় ২০১২ সালে ৫ জনকে আসামী করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ পরিচালক বর্তমানে পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস খানকে আসামি করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় ২০১৪ সালে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। পরে ২০১৫ সালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ মামলায় রায় দেন। রায়ে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া এক আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।
গত ২৯ জানুয়ারী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এভারেস্ট হোল্ডিং ও টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীন এর আপিল মামলায় জামিন শুনানীর সময় তিন ব্যাংক কর্মকর্তার অব্যাহতির বিষয় হাইকোর্টের নজরে আসে। এসময় রূপালী ব্যাংকের পনের কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযোগপত্র থেকে বাদ পড়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত। আজ ওই তিন ব্যাংক কর্মকর্তার হলফনামাসহকারে সশরীরে আদালতে হাজির হন।
রূপালি ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তা হলেন – ব্যাংকটির স্থানীয় কার্যালয়ের সাবেক উপ মহাব্যবস্থাপক বর্তমানে মহাব্যবস্থাপক এস এম আতিকুর রহমান, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক বর্তমানে উপ মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবদুস সামাদ সরকার।
সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ