Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই : আপিল বিভাগ


১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১২

ঢাকা: কর্ণফুলী নদীর পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ফলে কর্ণফুলীর যে অংশে অবৈধ স্থাপনা আছে সেটুকু অপসারণে  আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

মামলাটিতে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে একটি জরিপ প্রতিবেদন দেয়। সেখানে প্রায় ২১শ অবৈধ স্থাপনা ছিল।

এরপর ২০১৬ সালে একটি রায় হয় যেখানে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন আদালত। ওই রায়ের আলোকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত ৬ ফেব্রুয়ারি চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে যায়।

আজ তাদের ওই আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের যতটুকু জায়গায় নদীর অংশে পড়েছে সেটুকু ভাঙ্গতে আর কোন বাধা নেই।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আপিল শুনানির সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নদীর মধ্যে তাদের কোন অবৈধ জায়গা নেই। সুতরাং তাদের ভবন না ভাঙতে নির্দেশনা চান। তবে তার বিরোধীতা করে আমরা আদালতে বলেছি, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নাই। জরিপে যতটুকু এসেছে ততটুকুই ভাঙ্গবে। তার বেশি ভাঙার কোন সুযোগও নাই। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদনটি খারিজ করে করে দিয়েছেন।

এদিকে কর্ণফূলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে গত ৯ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত খবর ২০১০ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা দুই হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি রায়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও সংশ্নিষ্টরা তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে গত বছর ২৫ জুন সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশও পাঠানো হয়।

কিন্তু বিবাদিদের কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে তাদের আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

সে আবেদনের শুনানি শেষে গত বছর ৩ জুলাই আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কর্নফুলী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর