তালাক প্রশ্নে সালিশি পরিষদ কার্যকরে নীতিমালা কেন নয়, আদালতের রুল
১৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০১
ঢাকা: বিয়ে বিচ্ছেদ, দেনমোহর, ভরণ-পোষন, সন্তানের হেফাজতের মতো বিষয়ের মীমাংসায় সালিশি কাউন্সিলের ভূমিকা নিশ্চিত করতে কেন নীতিমালা করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া কুরআন এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী তালাকের সময় সালিশি পরিষদে দুই পক্ষকে ডাকা ও তাদের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতাসহ বেশ কিছু বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরির আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগেরে সচিব (ড্রাফটিং), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, এলজিআরডি সচিব ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
পরে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপোষ বা তালাক প্রত্যাহারের আবেদন না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়। তালাক আবেদনের পর সালিশি কাউন্সিলের মধ্যস্থতার জন্য ৯০ দিনে তিনবার উভয় পক্ষে নোটিশ দিয়ে ডাকবেন। কিন্তু কাউন্সিলের এ ডাকে কোনপক্ষ যদি না আসেন তাহলেও তালাক কার্যকর হয়।
তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটি কার্যকর হলে তো সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। কিন্তু এর সঙ্গে দেনমোহর, ভরণ-পোষন, সন্তান থাকলে তার জিম্মা নেওয়ার বিষয় থাকে। এ কারণে তালাক হয়ে যাওয়ার পরও এ বিষয়গুলো নিয়ে মামলা হয়। যা নিষ্পত্তিতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই আমরা বলেছি পবিত্র কুরআনের স্পিরিট ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী সালিসি পরিষদ কার্যকর এবং এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন করার নির্দেশনায় রুল জারি করতে। আদালত রুল জারি করেছেন।
‘ঢাকায় ঘণ্টায় এক তালাক’ দৈনিক প্রথম আলোতে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সেক্রোটারি সীমা জহুর ও আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম এ রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ