ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের একটি নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদনে ১৪টি তথ্য দিতে হবে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের।
সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকেই বিদেশিরা আবেদন করতে পারবেন। নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এতে ১৪ ধরনের তথ্য দিতে হবে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজের নাম, জন্মতারিখ, সংস্থা বা দেশের নাম, পেশা, অভিজ্ঞতা থাকলে দেশ ও বিদেশের অভিজ্ঞতা, পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্টের মেয়াদ, জাতীয়তা, বাংলাদেশে অবস্থানকালীন ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর, আবেদন তারিখ ও সই দিতে হবে।
এছাড়া আবেদনের সঙ্গে সদ্য তোলা একটি ছবি, মেয়াদ থাকা পাসপোর্টের কপি ও সিভি সংযুক্ত করতে হবে।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনফ্রেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোট পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এবারের নীতিমালায় বিদেশিদের অনুমতিদানে পুরো ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নিজের কাছে রাখা হয়েছে। আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হতো। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ইসির সুপারিশের ভিত্তিতে ভিসার ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে আবেদন আহ্বান করবে ইসি। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বা সংগঠন হিসেবে পর্যবেক্ষক হতে হলে সুশাসন, নির্বাচন, গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নির্বাচনের সময় বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অধিকার থাকবে। তারা সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক আরোপিত যে কোনো বিধিনিষেধ মেনে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে, তারা বেশিক্ষণ ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকতে পারবেন না।
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি সাংবাদিকদের অভ্যর্থনা এবং সহায়তার জন্য ভোটগ্রহণের তারিখের ১০ দিন আগে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করবে। যে সব বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো জেলা বা নির্বাচনী এলাকায় যেতে চাইলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবে ইসি সচিবালয়। রিটার্নিং অফিসারদের কাছেও প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টদের এ বিষয়ে অবহিত করবেন।