ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ আসনে কোনো প্রার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডিতে থাকতে পারবে না। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ কথা জানান।
এ সময় তিনি আরও জানান, ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন ভোট শুরু করবেন, আর কখন বন্ধ করবেন। আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ছিল।
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে এটা সংশোধন করে বিধান করা হয়েছিল যে ভোট শুরুর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি দেখবেন, তারা রিপোর্ট দিলে ভোট শুরু করতেন। আমরা এটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছি।’
তিনি জানান, আদালতের দৃষ্টিতে ফেরারি আসামিকে ভোটে অযোগ্য রাখার বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন আনা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ বিষয়ে কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, এবার থেকে ডিসি (জেলা প্রশাসক) নয়, বরং জেলা নির্বাচন অফিসারই ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করবেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কেউ নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরেও হলফনামার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে। সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। দুই প্রার্থীর ভোট সংখ্যা সমান হয়ে গেলে লটারি নয়, পুনরায় ভোট হবে।’