Wednesday 05 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়তি মাশুল আদায় এক মাস পিছিয়ে দিলেন নৌ উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৯ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:০৫

নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবাখাতে বাড়ানো ট্যারিফ (মাশুল) আদায় এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩টি খাতে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করে। এতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর পর মাশুল বাড়ানো হলেও ব্যবসায়ীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, রফতানিমুখী শিল্পে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মাশুল আদায় অন্তত ছয় মাস স্থগিত রাখার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্যারিফ থেকে আরও এক মাস রিলিফ দেওয়া হচ্ছে। বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তার পরামর্শেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। দুনিয়ার অনেক বড় অপারেটর শতাধিক বন্দর পরিচালনা করছে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগ মানে বন্দর বিক্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করা। এতে কারও চাকরি যাবে না।’

বে-টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করি। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই অর্থ দিয়েছে। এই সরকারের মেয়াদেই কাগজপত্রের কাজ শেষ হবে, পরবর্তী সরকার কাজ শুরু করবে।’

কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ নৌপরিবহন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।