ঢাকা: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। যোগ্য হয়েই সুযোগ্য স্থানে অধিষ্ঠিত হতে হবে। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র সংসদের আয়োজনে প্রথম এমডিসি জাতীয় স্কুল, কলেজ ও আন্তঃমাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা একটি স্থানে এসেছি, এখানেই শেষ নয়—আরো বহুদূর যেতে হবে। এই পথ চলায় কোনো বাধা এলে আমাদের থেমে গেলে চলবে না। সব বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, ‘সব ভেদাভেদ ও মতপার্থক্য ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে সুযোগ এসেছে, সেটিকে কাজে লাগাতে হবে। এ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আবারও বহু বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।’ তিনি সবাইকে কালেমা তায়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
পরে উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, তিন মাসব্যাপী স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ক্যাটাগরিতে আয়োজিত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। স্কুল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় মুগদা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রানারআপ নশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কলেজ ও উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে নটর ডেম কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং মনিপুর স্কুল ও কলেজ রানারআপ হয়। মাদরাসা ক্যাটাগরিতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা চ্যাম্পিয়ন এবং বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. শামসুল আলম, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, আল ফাতাহ পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সাঈদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি আবু সাদিক কায়েম ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুন্নবী মানিক বক্তব্য দেন।