ঢাকা: স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধিতে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ে প্রথম এমওইউ সই করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পক্ষে নথিতে সই করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান।
দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্য সম্পর্কিত। বাংলাদেশের পক্ষে নথিতে সই করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তারা নথি সই ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই নেতার একান্ত বৈঠক (টেট-আ-টেট) এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
পরে তোবগেকে গার্ড অব অনার ও ১৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দর থেকে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।
বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।