Saturday 06 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০৩

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের নারীসমাজকে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নিরাপদ পানির সংকট, ভূমিক্ষয়, বন্যা ও খাদ্য অনিরাপত্তার চাপ প্রথমেই এবং সবচেয়ে গভীরভাবে পড়ে নারীদের ওপর—যা তাদের দৈনন্দিন জীবন, স্বাস্থ্য ও আয়-উপার্জনে বড় ধরনের বাধা তৈরি করছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে ‘Voices for Change: Putting Climate Action, Women Entrepreneurs, and SMEs in Bangladesh’s Public Policy’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকর অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন নারীরাই। তার ভাষায়, ‘নারীরা যখন শক্তিশালী হন, তখন শুধু তাদের পরিবার নয়—সমগ্র সমাজ ও জাতিই এগিয়ে যায়।’

তিনি উল্লেখ করেন, উপকূলীয় অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা লবণাক্ততা পরিমাপ, লবণসহিষ্ণু খাদ্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব উপকরণ তৈরি এবং ঘরে বসে বিকল্প আয়ের পথ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নারীর উদ্ভাবনী শক্তিই সবচেয়ে বড় আশার জায়গা।’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় নারী উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নারী যখন স্বাবলম্বী হন, তখন পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি—সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নত হয়।’

তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নারীদের স্থানীয় পণ্যের বিপণন, গ্রাহক তৈরি এবং পরিচিতি বৃদ্ধিতে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে অনেক নারী ঘরে বসেই হস্তশিল্প, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পোশাক, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করছেন।

জামদানি, নকশীকাঁথা, মাটির সামগ্রী ও স্থানীয় খাদ্যপণ্যের মতো ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক মানে ব্র্যান্ডিং করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও নীতিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রধান চালক। রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান—সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল পিএলসি’র চেয়ারম্যান আব্দুন নাসের খান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সারা হোসেন, আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ বিপাশা এস. হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’র মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান, উইএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট–১ তাজিমা মজুমদার এবং সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আওয়াল।

বিজ্ঞাপন

গুগল সার্চে হিট ভারতের তারকারা
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর