Wednesday 31 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুনর্জাগরণের অঙ্গীকারে স্বাগতম ২০২৬

সারাবাংলা ডেস্ক
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৫২

২০২৫ সালের শেষ সূর্যাস্ত। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: চন্দ্র-সূর্যের আসা-যাওয়ার নিয়মে ৩৬৫ দিন পর পর বছরের ক্রমিক বদলায়। ৩৬৫ দিনের এই বৃত্তের মাঝে থাকে মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, চাওয়া-পাওয়া, এমনকি না পাওয়ারও বেদনা। তবুও মানুষ ক্রমাগত পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনের দিকে যাত্রা করে। সেই যাত্রায় পঞ্জিকানুসারে ২০২৫ সালের শেষ দিন ছিল আজ। সেই দিনকে বিদায় জানিয়ে রাত ১২টায় নতুন বছর ২০২৬ খ্রিস্টাব্দকে স্বাগত জানাল পৃথিবী। আগামীকালের ভোর আসবে নতুন সূর্য নিয়ে, নতুন আশার সারথি হয়ে।

বিদায় ২০২৫, স্বাগত ২০২৬। পেছনে পড়ে রইল বহু ভাঙা-গড়ার উত্তাল অধ্যায়। বাংলাদেশের মানুষ আজ আরও একটি নতুন বছরে পা রাখল। ২০২৫ সালের দিনগুলো ছিল প্রতিরোধ, হৃৎস্পন্দন থমকে দেওয়া শোক আর এক অদম্য জাতির মাথা নত না করার অমর উপাখ্যান। বছরের বিদায়বেলায় এক শোকাতুর পরিবেশ গ্রাস করেছে পুরো দেশকে। গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণে কেঁদেছে কোটি প্রাণ। এ দেশের মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধার যে আসনে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে বিদায়বেলার সেই অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায়। মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানিয়েছে একরাশ গভীর মমতা আর পরম শ্রদ্ধায়।

বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালের অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের বাংলাদেশে স্বপ্ন ছিল উঠে দাঁড়াবার। সেই দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে, শহিদদের সেই রক্ত আজ এক নতুন যুগের শিকড়ে প্রাণ সঞ্চার করেছে। ক্ষতবিক্ষত হয়েও বাংলাদেশ আজ এক মহাবিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। এ দেশের মাটি আজ সমৃদ্ধ হয়েছে এক নতুন পুনর্জাগরণের অঙ্গীকারে। সব ভাঙন আর দুর্বলতা সত্ত্বেও ২০২৫ কোনো আত্মসমর্পণের বছর নয়, বরং জাগরণের বছর।

২০২৫-এর সেই ক্ষতগুলো মুছে যাবে না ঠিকই, তবে সেগুলো বয়ে বেড়াবে এক অপরাজেয় সাহসিকতার পদক হিসেবে। পুরোনো ঘুণে ধরা ব্যবস্থার প্রতিটি ফাটল আজ হয়ে উঠেছে নতুন সৃষ্টির উর্বর ভূমি। যেখানে একসময় দুর্নীতির রাজত্ব ছিল, সেখানে আজ ন্যায়বিচারের চারা রোপিত হচ্ছে; যেখানে ছিল হতাশা, সেখানে ডানা মেলছে নতুন সুযোগ; আর বিভেদের বিষবাষ্প সরিয়ে জেগে উঠছে এক অভূতপূর্ব ঐক্য।

২০২৬ সালের ভোরের প্রথম আলো যখন দিগন্তে উঁকি দেবে, তখন তাকে মনে হবে দীর্ঘ বিরহের পর এক পরম মমতাময়ী সন্ধি। যে রাজপথগুলো একসময় মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হতো, সেখানে এখন পড়বে আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা আর কারিগরদের শান্ত অথচ দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০২৬ সালের এই উদয় কেবল ক্যালেন্ডারের পাতা উলটানো নয়; এটি একটি জাতির পুনর্জন্ম। আগামীর ভোর হোক কেবল সূচনা নয়, এক পুনর্জন্মের ঘোষণা।

সারাবাংলা/পিটিএম
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর