কটিয়াদীর সব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, অ্যাডিশনাল এসপি-ওসি প্রত্যাহার
২৪ মার্চ ২০১৯ ১২:১৫
ঢাকা: ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ ওঠায় কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে দায়িত্ব অবহেলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম এবং কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, অনিয়মের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সবকয়টি (৮৯টি) কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কটিয়াদী উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতেই সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়। সকাল ৮টায় ৮৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হলে রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। পরে পুরো উপজেলার ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়।
স্থগিত হওয়া কটিয়াদী উপজেলার স্বতন্ত্রপ্রার্থী ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ প্রভাব খাটিয়ে আগের রাত ব্যালটে সিল মারার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এটা ‘ভোট চুরি’।
এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।
মুশতাকুর রহমান আরও জানান, ৫০ বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। অথচ তাকে মনোনয়ন না দিয়ে সেখানে অযোগ্য প্রার্থীকে প্রভাব খাটিয়ে দলীয় মনোনয়নও এনে দিয়েছেন সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগকে বাঁচাতেই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।
নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন স্থগিত করায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এ রকম কারচুপির নির্বাচন স্থগিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/জিএস/একে