ঢামেক থেকে স্বজনদের হাতে নিথর ১০ দেহ
২৯ মার্চ ২০১৯ ১৩:১৯
ঢাকা: বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত ১০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘মর্গ থেকে আটটি ও জরুরি বিভাগ থেকে দুইটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ৯টি ও সকালে ১টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।’
জরুরি বিভাগ থেকে হস্তান্তর করা হয় রুমকি আক্তার (৩২) ও আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মরদেহ।
মর্গ থেকে হস্তান্তর করা হয় ফজলে রাব্বি (২৭), তানজির আবির (২৪), শেখ তাসনিম বৃষ্টি (২৭), আমির হোসেন রাব্বি (২৯), মির্জা আতিকুর রহমান (৪৪) মঞ্জুর হাসান (৩৫) আহমেদ জাফর (৫৯) ও ইকতিয়ার হোসেন (ইকতিয়ার হোসেন (৩৭) এর মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন লাগে এফআর টাওয়ারে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি তলায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় ২৫ জন মারা গেছেন বলে গুলশান জোনের ডিসি মোসতাক আহমেদ জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ফজলে রাব্বি (২৭)। বাবা জহিরুল হক, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ। এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামে একটি কোম্পানিতে তিনি চাকরি করতেন।
তানজির আবিরের (২৪) মরদেহ শনাক্ত করেন তার দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, তানজিরের বাবা আবু বকর সিদ্দিক, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট। কল্যাণপুর মধ্য পাইকপাড়ায় থাকতেন তানজির। মিরচি সিকিউরিটিজ নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
শেখ তাসনিম বৃষ্টির (২৭) স্বামী কাজী নূর। তাদের গ্রামে বাড়ি যশোর, থাকতেন খিলক্ষেতে। চাচাত ভাই জিসান তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, এফআর টাওয়ারের ১২ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বৃষ্টি।
বন্ধু গিয়াস উদ্দিন শনাক্ত করেন আমির হোসেন রাব্বির (২৯) মরদেহ। গিয়াস জানান, আমিরের বাবা আইয়ুব আলী, তাদের বাড়ি পাবনা। খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় থাকতেন। বনানীর ওই ভবনে ১১ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
মির্জা আতিকুর রহমানের (৪৪) চাচাত ভাই আবুল খায়ের তার মরদেহ শনাক্ত করেন। খায়ের জানান, আতিকুরের বাড়ি শরীয়তপুর, ক্যান্টনমেন্ট মানিকদী এলাকায় থাকতেন। এফআর টাওয়ারের ১৩ তলায় স্ক্যানওয়েল লজিস্টিকসে চাকরি করতেন তিনি।
আমেদ জাফর (৫৯) ভাই আবুল কালাম মরদেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান, তাদের বাড়ি নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ। আহমেদ জাফরের মরদেহ সকালে হস্তান্তর করা হয়।
ইকতিয়ার হোসেন (৩৭) এর মরদেহ শনাক্ত করেন ভাই ইসতেখাইরুল আলম। তিনি জানান, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। ১১ তলায় একটি কোম্পানি কাজ করতেন তিনি।
মঞ্জুর হাসান (৩৫)। তার বাবা মনসুর মণ্ডল, বাড়ি নওগাঁ সদরে। ইব্রাহিমপুর এলাকায় থাকতেন। তার মরদেহটি শনাক্ত করেন শ্যালক জগলুল আলম। তিনি জানান, পায়ে সমস্যা থাকায় স্ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করতেন মঞ্জুর।
জরুরি বিভাগ থেকে রুমকির মরদেহ গ্রহণ করেন স্বামীর খালাত ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন তারা গেন্ডারিয়ার আলমগঞ্জে থাকত।
আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩০) এর মরদেহ শনাক্ত করেন ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন। তারা ডেমরার সারুলিয়ায় থাকত।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে
আরও পড়ুন
ফায়ার সার্ভিসের সুবিধায় ৪ জায়গায় রাখা হবে মরদেহ
তদন্ত রিপোর্ট অনুয়ায়ী কাজ না করায় ফের আগুন
হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা: শ ম রেজাউল
এফআর টাওয়ার থেকে ২৫ লাশ উদ্ধার: গুলশান ডিসি
বুকের ভেতর আছে মস্তবড় কলিজা
বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন, প্রতি মুহূর্তের আপডেট
সিঁড়ি না পাঠালে মারা যাবো