ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে: প্রধানমন্ত্রী
১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:০৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন যেন থাকে আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।
গণভবনে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন ফায়ার সার্ভিসের কিছুই ছিল না। ক্ষমতায় আসার পর আমরা ফায়ার সার্ভিসকে উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ওই সময় ল্যাডার, ক্রেনসহ বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত হয়। এখন প্রতিটি জেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করে দিয়েছে সরকার। এছাড়াও দেশের প্রতিটি উপজেলাতে একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হবে।’
দুর্ঘটনা রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে তো আমরা করছি। এখন ২২তলা পর্যন্ত র্যাডার ও ক্রেন যেতে পারে। এগুলো আওয়ামী লীগ সরকারেরই করা। আর কেউ করেনি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতেও করেনি। জিয়া,এরশাদ খালেদা জিয়া কেউ করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের আবহাওয়া, জলবায়ু সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবনের পরিকল্পনা করার কথা বলেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভবন নির্মাণ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নুসরাতের হত্যাকারীদের কাউকে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
এ সময় বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকর্মী সোহেল রানার জন্য শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা ফায়ার সার্ভিস সদস্য সোহেলকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ক্রেনে জায়গা হচ্ছিল না। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার মানুষদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারে তার পা আটকে গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাকে বাঁচানোর। কিন্তু পারলাম না।’
উপদেষ্টা পরিষেদের বৈঠকের কার্যসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। ইতোমধ্যে আমরা একটা জাতীয় কমিটিও করে দিয়েছি এবং সেখানে কিছু সাব-কমিটিও হবে। আমি একটা অফিসও ঠিক করে দিয়েছি সরকারিভাবে। বছরব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি বছরব্যাপী হবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও প্রতিটি ইউনিট, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর আব্দুল খালেদ, প্রফেসর হামিদা বানু, মুকুল বোস, অ্যাম্বাসেডর জমির, মশিউর রহমান, মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে/এনআর