ইবাদত বন্দেগিতে কাটলো শবে বরাত
২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৫৬
ঢাকা: নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজগার ও আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে পালিত হয়েছে ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাত। মুসলমানদের জীবনে মহান আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ রাতের একটি এটি। মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। শবে বরাত উপলক্ষে নফল রোজাও রাখেন অনেকে।
রোববার (২২ এপ্রিল) এশার নামাজের পর থেকে ধর্মীয় বয়ান, কোরআন পাঠ, জিকির ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত পালনের মাধ্যমে পুরো রাতই অতিবাহিত করেন মুসলমানরা। হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী প্রতি বছর শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতেই শবে বরাত (লাইলাতুল বরাত) পালিত হয়। এ রাতটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। এরপরই আগমন ঘটে পবিত্র রমজান মাসের। তাই সিয়াম সাধনার প্রস্তুতির জন্যই এ রাতটিকে গুরুত্ব দিয়ে পালন করে মুসলিম সম্প্রদায়।
ধর্ম অনুযায়ী মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। তাই আল্লাহর রহমত পাওয়ার আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলায়াওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালনের পাশাপাশি টাকা পয়সা দান করে থাকেন।
এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে রোববার মাগরিবের নামাজের পর থেকেই মুসল্লিদের আগমনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শুধুমাত্র বায়তুল মোকাররম নয় রাজধানী ঢাকার সব মসজিদগুলো ছিল মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ। সারা রাত জেগে কিশোর-তরুণেরা এক মসজিদ থেকে আরেক মসজিদ ঘুরে কবর জিয়ারত করে কাটিয়েছেন।
গভীর রাতে হাইকোর্ট মাজার মসজিদে গিয়ে দেখা যায় মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। কেউ নফল নামায আদায় করছেন, কেউ জিকির করছেন, কেউ বা বসে বসে কোরআন তেলাওয়াত করছেন।
জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায়ের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় মসজিগুলোতে। এর পর মুসল্লিদের নফল ইবাদাতের জন্য সময় দেওয়া হয়। সে সময় নফল নামায আদায় করেন তারা। ফজরের নামাযের পর মুসল্লিদের নিয়ে মানবজাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনেক মসজিদে আলোক সজ্জাও করা হয়। ইবাদতের পাশাপাশি এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব বর্ণনা করে ওয়াজ মাহফিল অনষ্ঠিত হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে