রূপপুরে কর্মচারীদের বেতন-ভাতার খবর কাল্পনিক: পরমাণু কমিশন
২০ মে ২০১৯ ১৭:৩৮
ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে অনুমাননির্ভর ও কাল্পনিক বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
সোমবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এ দাবি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন তারা পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে তাদেরকে প্রকল্পে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী কমিশন থেকে বেতন-ভাতা নেন। এর বাইরে আর কোনো বেতন-ভাতা নেন না।
এছাড়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সমধর্মী অন্যান্য পাবলিক কোম্পানির বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে কোম্পানি বোর্ড নির্ধারণ করেছে। এ বোর্ডে পরিচালক হিসেবে সরকারের অর্থ বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমার্ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি), উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) কেউই প্রকল্প থেকে বেতন-ভাতা নেন না। তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা। তারা কমিশন থেকেই নির্ধারিত স্কেলে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। প্রকল্প পরিচালক একইসঙ্গে কোম্পানির এমডিও। কোম্পানির এমডি হিসেবে তিনি কোনো বেতন বা ভাতা কোম্পানি থেকে নেন না। এছাড়া একাধিক সংস্থা থেকে বেতন ভাতা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানিতে এখনও কোনো গাড়িচালক বা বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়নি। তাই তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার প্রসঙ্গটি অবান্তর। তবে ভবিষ্যতে নিয়োগ করা হলে কোম্পানির বেতন কাঠামো অনুযায়ী গাড়িচালক ও বাবুর্চির বেতন-ভাতা হবে ২৪ হাজার ৪০০ টাকা। প্রকল্পে বর্তমানে যে সব গাড়িচালক ও বাবুর্চি আছেন তারা মাস্টার রোলে কাজ করছেন। দৈনিক ভিত্তিতে মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা পান। সুতরাং প্রকল্প ও কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা সম্পর্কে গণমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত এবং প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস।
সারাবাংলা/এইচএ/একে