বাছিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের চিঠি
২৬ জুন ২০১৯ ১৮:০৫
ঢাকা: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্যা।
চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির (এনামুল বাছির) ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সত্যতা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
বুধবার (২৬ জুন) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজান ও বাছিরকে দুদকে তলব
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কমিশন এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করেছে। সম্প্রতি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানের আগে তিনি যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্যে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদক পরিচালক বাছির সাময়িক বরখাস্ত
ডিআইজি মিজান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৪ জুন তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর সেই তলবি নোটিশে তাদের দুইজনকে আগামী ১ জুলাই দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঘুষের সত্যতার অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা, সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজান সাময়িক বরখাস্ত
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমানের অভিযোগটির তদন্ত করছিলেন দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির। এরই মধ্যে এনামুল বাছিরকে ডিআইজি মিজান ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন। যদিও পরিচালক এনামুল বাছির দাবি করেছেন, তিনি ঘুষ নেননি।
আরও পড়ুন: দুদক পরিচালক ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন, অভিযোগ ডিআইজি মিজানের
২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল বাছির। এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন করে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
সারাবাংলা/এসজে/একে