কানাডায় আশ্রয় চাইলেন সিনহা
২৬ জুলাই ২০১৯ ০৬:৪২
ঢাকা: এবার কানাডায় ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ চেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা। তার স্ত্রী সুষমা সিনহাও একই আবেদন করেছেন। কানাডার টরেন্টো থেকে প্রকাশিত ‘দ্য কানাডিয়ান কুরিয়ার’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ জুলাই সিনহা দম্পতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে শরণার্থীর মর্যাদা চেয়েছেন। এর আগে বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। এবার নতুন করে তিনি কানাডায় আশ্রয় চাইলেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে সরকার ও সিনহার বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী তার অপসারণ চেয়ে বক্তব্য দেন। সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে এক পর্যায়ে তিনি ছুটিতে যান। প্রথমে সিঙ্গাপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। পরে সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। গত ১০ জুলাই ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি এবং চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তবে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারপতি সিনহা গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, পদত্যাগে বাধ্য করে তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম অমুসলিম প্রধান বিচারপতি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সিনহা বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি
আরও পড়ুন
ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা
‘বিদেশে বসে ভুতুড়ে কথা ছাপছেন এস কে সিনহা’
এস কে সিনহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু