সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিগগির চূড়ান্ত
১৭ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৫০
ঢাকা: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে সমন্বিত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের শুরুতে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।
সারাবাংলাকে ওই কর্মকর্তা জানান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা প্রস্তুত করার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে একটি সভা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। সেখানে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অনেক শিক্ষাবিদরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বসম্মতিতে নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হবে।
এদিকে, নতুন নীতিমালাটিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা ভিত্তিক বেশ কিছু শর্তে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে, অধ্যাপক হতে ১২টি প্রকাশনা ও প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হতে ৩টি প্রকাশনা লাগবে বলে জানা গেছে। পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে ১৩ বছর এবং যদি কোনো শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি না থাকে তবে অধ্যাপক হতে তাকে ২১ বছর শিক্ষকতা করতে হবে।
এছাড়াও, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা, ডামি ক্লাস এবং মৌখিক পরীক্ষার পুরনো নিয়মগুলোও রাখা হচ্ছে নতুন নীতিমালায়। তবে একটি সূত্র বলছে, পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার নিয়ম বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন নীতিমালায়, প্রার্থীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ অপেক্ষমান থাকার সময়ে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচনা করা হলেও তাদের জন্য নিয়োগের অন্যান্য শর্ত কোনোভাবে শিথিল করা হবে না।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে আরো আধুনিক করার জন্য নীতিমালাটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে যেনো কোনো সমালোচনা না হয় সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই নীতিমালাটি কার্যকর করা হবে।
শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাটি কার্যকর হলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে শিক্ষকদের গবেষণার প্রবণতা বাড়বে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করতে ৩ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নে সে সময় কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাকে আহবায়ক করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।