বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:৫২
এক্সিকিউটিভ এডিটর
ঢাকা: সৌদি আরবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশাল অর্থ সম্পদের খবর’র প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ওখানে যে বিশাল শপিংমল ও অর্থ সম্পদের খবর পাওয়া গেল, কিন্তু আপনারা (সাংবাদিক) কোনো নিউজ করলেন না। আপনারা কি বিনা পয়সায় শপিং করার কোনো কার্ড পেয়েছেন?
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। কম্বোডিয়া সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদের কথা তো আমরা বলিনি। বলেছে, বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আপনারা তো প্রত্যেকেই একেকটা পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের মালিক। কিন্তু কই, এ বিষয়ে আপনারা তো কোনো নিউজ করলেন না। তাহলে কি বিনা পয়সায় শপিং করার কোনো কার্ড পেয়েছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে আমার আহ্বানে তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন।
আরেকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পত্তি তাদের (খালেদা জিয়া ও তার পরিবার) রয়েছে সৌদি আরবে। এটা বের করেছে সৌদি সরকার। বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এদেশের মানুষ অবশ্যই এর বিচার করবে। এরইমধ্যে বিদেশে পাচার করা তাদের টাকা আমরা ফেরৎ এনেছি। এ প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন’র আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার (০৩ ডিসেম্বর) কম্বোডিয়া যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নম পেনে পৌঁছে কম্বোডিয়ার স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে এবং কম্বোডিয়ার জাতির পিতা প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের রাজকীয় স্মৃতি ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর কম্বোডিয়ার গণহত্যা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
সফরকালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘পিস প্যালেসে’ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত ও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে নয়টি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি সই হয়। পরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং কম্বোডিয়া চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দেওয়া নৈশভোজেও তিনি যোগ দেন।
কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত সাঈদা মুনা তাসনিমের দেওয়া একটি নৈশভোজে অংশ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা।
তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় দেশে ফেরেন তিনি। নম পেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান কম্বোডিয়ার মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী ইং কানথা ফাভি, দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ইট সোফিয়া, কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত সাঈদা মুনা তাসনিম এবং বাংলাদেশে কম্বোডিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পিচকুন পানহা।
দেশে ফেরার এক দিন পর বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) তাঁর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সফরের বিস্তারিত তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা কম্বোডিয়ার
সারাবাংলা/এমএম/এজেড/এটি