Monday 28 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপিকে বরণডালা পাঠাতে হবে?


৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:১৩

বিশেষ সংবাদদাতা

ঢাকা: ‘বরণডালা পাঠাতে হবে? ২০১৪ ( ২০১৩) সালে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যে ঘাঁইটা খেয়েছি। আর আমি ঘাঁই খেতে চাই না’।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়া সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

সাংবাদিক শ্যামল দত্তের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমার ওপর এত জুলুম করেন কেন। আমি কি বরণডালা নিয়ে যাব। ২০১৪ (২০১৩) আলোচনার জন্য আমি ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন যে ‘ঘাঁই’ আমি খেয়েছি, আর ঘাঁই খেতে চাই না।

খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে ফিরে আসার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার অফিস থেকে ফোন করে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু দরজা খোলা হয়নি। আমি আর কিছু না হই, প্রধানমন্ত্রী তো! অথচ আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না। মূল গেইট আটকে দেওয়ায় আমি গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে ঢুকতে গেলাম। কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হলো না। যারা ‘ভদ্রতাটুকু’ জানে না তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা। আপনারা কেন আমাকে এত আজাব দেন।

আপনাদের কারো মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলে সেখানে আর কেউ যেতেন। ক’জন যেতেন-বলেন। আমার তো মনে হয় কেউ যেতেন না। সুতরাং আমি আর কারো কাছে ঘাঁই খাওয়ার জন্য যেতে পারব না। যার ইচ্ছা নির্বাচনে আসবে, না হয়- না আসবে।

সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদের কথা তো আমরা বলিনি। বলেছে, বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আপনারা তো প্রত্যেকেই একেকটা পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের মালিক। কিন্তু কই, এ বিষয়ে আপনারা তো কোনো নিউজ করলেন না। তাহলে কি বিনা পয়সায় শপিং করার কোনো কার্ড পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে আমার আহ্বানে তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন।

আরেকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পত্তি তাদের (খালেদা জিয়া ও তার পরিবার) রয়েছে সৌদি আরবে। এটা বের করেছে সৌদি সরকার। বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এদেশের মানুষ অবশ্যই এর বিচার করবে। এরই মধ্যে বিদেশে পাচার করা তাদের টাকা আমরা ফেরৎ এনেছি। এ প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন’র আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার (০৩ ডিসেম্বর) কম্বোডিয়া যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘পিস প্যালেসে’ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত ও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে নয়টি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি সই হয়। পরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার এক দিন পর বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) তাঁর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: 

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা কম্বোডিয়ার

বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

সারাবাংলা/এমএম/এজেড/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর