‘উপকূলের জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য বাজেট পর্যাপ্ত নয়’
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০৪ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৩৪
ঢাকা: সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমাদের দেশের প্লাবনভূমি, হাওর, উপকূল এবং পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বড় অন্তরায় হচ্ছে এই জলবায়ুর প্রভাব। দেশের তিন ভাগের এক ভাগ উপকূলের জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশের বাজেট পর্যাপ্ত নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আজ ঢাকায় একটি স্থানীয় হোটেলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সহিংসতার শিকার প্রতিবন্ধী নারীদের বিচার প্রাপ্তি বিষয়ক ও গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন জায়গা থেকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এসেছে, এজন্য তৃণমূল পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে পরিবর্তনের না পাওয়ার বিষয়টি রয়েই গেছে উল্লেখ করে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘আপনাদের গবেষণালব্ধ চিন্তা ভাবনাগুলো যদি এ সরকারের সঙ্গে ভাষাগত মিল হয়, তাহলে সরকারের কার্যকলাপে আপনারা তা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন কতগুলো উল্লেখযোগ্য উপকূল আছে সেখানকার মানুষ একেবারে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। সভ্যতার উন্নয়নে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন কতগুলো মৌলিক কাজে হাত দিতে হবে যে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্নত লাভ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব থেকে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আলোচনাগুলো আরও জোরালোভাবে হয় যাতে বিশ্ববাসী জানতে পারে, এ অবদান আমাদের রাখা দরকার। আমাদের দারিদ্র সীমার ডেটার পরিবর্তন আনতে, জলবায়ুর শিকার থেকে মুক্ত পেতে একটা বড় গবেষণার মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে।’
সেমিনারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পরিবেশ বিজ্ঞানী আহসান উদ্দিন আহমেদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পারভীন মাহমুদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্পোরেশনের প্রধান মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ইউএসএআইডি এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষণা কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও প্ল্যাটফর্ম সমূহ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবর্গ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সারাবাংলা/এফএন/এসআর