ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার পদত্যাগ করেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি, যা পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।’
এদিকে, আজ সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় (কিছু হলে সময় বাড়ানো হয় আরও ২ ঘণ্টা)। ম্যানুয়াল গণনার কারণে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়। এরপর শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা, যা এখনও চলছে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন; এর মধ্যে প্রায় ৬৭–৬৮ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না, একক প্রার্থী ছিলেন ৬৭টিতে, আর ভোটগ্রহণ হয় মাত্র ২৪টি পদের জন্য। ২১টি হলের মধ্যে দুটি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জনকারী প্যানেলগুলো হলো—‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল।