Monday 03 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে সরকারকে: চরমোনাই পীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৭ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৮

বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি কোনো চাপের মুখে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না দেয়, তবে জনগণই সেই নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে। এতে কালো টাকা, ভোট ডাকাতি ও ফ্যাসিস্ট শাসনের সুযোগ থাকবে না। বিএনপিরও এতে আপত্তি থাকার কথা নয়।

ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত জুলাই চায় না। জুলাইয়ের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আপনারা কি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনের আগে তিনটি কাজ করতে হবে—সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন। নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে। ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে তিনটি কাজ জরুরি—সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘পিআরে তো বিএনপির আপত্তি থাকার কথা না। তারা যেহেতু সবার সম্পৃক্ততায় নির্বাচন চান, সেহেতু পিআর তো তাদেরই চাওয়ার কথা। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে না, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে না, ভোট ছিনতাইয়ের সুযোগ থাকবে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব ধরনের মানুষের সংসদ হবে— বাম-ডান, হিন্দু-মুসলিম। যেকোনো আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে হবে না, আন্দোলন হবে সংসদে। যদি কোনো সংশয় থাকে গণভোট দিন। জনগণ চাইলে পিআরে নির্বাচন হবে, না চাইলে হবে না।’

মুফতি ফয়জুল করিম প্রাইমারি স্কুলে গান এবং নাচের শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানান। তিনি বলেন, মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় এই দেশে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কেউ যদি দিতে চায়, তাহলে সে মসনদে থাকতে পারবে না। যদি শিক্ষক দিতে চান, তাহলে কম্পিউটারের শিক্ষক দিন। আর ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

মিছিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা উত্তর মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল করিম আবরার, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ ইবনে কাউয়ুম, ঢাকা-১১ আসনের এমপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর