ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুফতি রেজাউল করিম বলেছেন, “আমাদের রাজনীতি কোনো মন্ত্রিত্ব বা এমপিত্বের জন্য নয়, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। আর এই কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি হলো ইসলাম।”
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.)-এর শিক্ষা’ শীর্ষক সীরাত কনফারেন্সে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ভারতের গণমাধ্যমে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হলেও বাস্তবে ইসলামী নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসীরাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, উপাসনালয় রক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘প্রশাসন যখন থমকে গিয়েছিল, তখন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরাই ট্র্যাফিক সামলেছেন।’
প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যখন মায়ের বুক খালি হয়েছে, সন্তানের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়েছে, তখন তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলা-বাণিজ্য ও খুনোখুনিতে লিপ্ত হয়েছে।’
রেজাউল করিম দাবি করেন, ‘ইসলামী আন্দোলন কখনো ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেনি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি—সবাই ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান ব্যবস্থাকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে তিনি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দেন। তার মতে, এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হবে, সব দলের সংসদে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ফ্যাসিবাদী প্রবণতা হ্রাস পাবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী এবং জাতীয় ওলামা পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু মোহাম্মদ রহমানি।