ঢাকা: জনগণকে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হবে না—জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে ইনসাফ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি মানুষের পাওনা তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসন ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পারলেই আর কোনো আন্দোলন বা কর্মবিরতি দরকার হবে না।
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ৫ বছরে উন্নয়নের বুলেট ট্রেন চালু না করতে পারলেও উন্নয়নের এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে পারব।’
তিনি দাবি করেন, দ্রুতগতিতে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা হবে।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সরকারি জবাবদিহিতা ও সংবাদের স্বাধীনতাও মজবুত করা হবে বলে মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের সাহসিকতার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেব, সেটা আমাদের বিপক্ষে গেলেও।’
কাউন্সিলে তিনটি মূল কমিটমেন্ট ঘোষণা করে জামায়াত আমির বলেন, ‘প্রধান ফোকাস থাকবে ভাঙাচোরা শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা। আমার মেরুদণ্ড নেই তো দাঁড়াব কীভাবে, বসব কীভাবে, মেরুদণ্ড ছাড়া তো আমি ফুটবল হয়ে যাব।’
তিনি যোগ করেন, ‘‘বর্তমানে যে শিক্ষা সিস্টেম মানুষকে অনৈতিকতা শেখায়, দুর্নীতিবাজ করে এবং মানুষকে ‘ইতর প্রাণী’ বানায়— সেই শিক্ষা আর দেওয়া হবে না। বরং মানুষকে মানুষ বানায়, মানুষকে সম্মান করতে শেখায় এমন শিক্ষা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেটা শিশুদিগকে শিক্ষা প্রদান করা হবে।’’
জামায়াত আমির বলেন, ‘নৈতিক ও বৈচিত্র্যময় শিক্ষার মেলবন্ধন গড়ে তোলা হবে যাতে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে চাকরি বা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করতে পারে—অর্থাৎ বেকারত্ব কমানোই হবে তাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায়, মানুষকে সম্মান করতে শেখায় সেই শিক্ষাই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দেব।’
ডা. শফিকুর রহমানের দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, কল্যাণ রাষ্ট্রে কেবল ডিগ্রির ভিত্তিতে কারও মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে না; বরং কাজের ভিত্তিতেই মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘শুধু ডিগ্রির ভিত্তিতে এই কল্যাণ রাষ্ট্রে কারও মর্যাদা নির্ধারণ হবে না। কাজের ভিত্তিতে মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে।’
তৃতীয় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘দুর্নীতির জোয়ার কেটে দেব। এই ঘোষণায় তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অনেকেই শুভঙ্করভাবে কাজ না করে দুর্নীতির চালচলনে লিপ্ত— তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর সচেতনতা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সার্ভিসের ডেপ্থ এবং ওয়েট যত সেই সার্ভিসের বেতন কাঠামো সেইভাবে করতে হবে।’