ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, দেশের সামগ্রিক ইতিবাচক পরিবর্তনে সবাইকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠনই সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম শর্ত। কিন্তু রাষ্ট্রের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে যুব সমাজের মধ্যে মাদকাশক্তির বিস্তার ঘটছে। মূলত, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে রাষ্ট্রে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে শিল্পাঞ্চল থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও অশ্লীলতামুক্ত সমাজ গঠনে আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
থানা আমির ও সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, হাতিরঝিল অঞ্চল টিম সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লা, থানা নায়েবে আমির মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়া হারুন, থানা সেক্রেটারি নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহিদ, পরিবহন শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দিন রায়হান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. সুলতান মাহমুদ এবং ছাত্রশিবির ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ‘২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের নৈশকালীন ভোট এবং ২০২৪ সালে আমি ও ডামি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি জনগণ দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার আগে প্রশাসনের দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের আগেই জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা, স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি তৈরি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটসহ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যাতে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হয়।
প্রয়োজনে এ বিষয়ে গণভোটের আয়োজনেরও আহবান জানান তিনি। ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান সাইফুল আলম খান মিলন।