Friday 07 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রচর্চার জন্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৮

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রচর্চার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত— মানুষের মৌলিক মানবাধিকার— নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, বরং আধিপত্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’

বিএনপি নেতা বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবায় ঠেলে দেয়। একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।

তারেক রহমানের ভাষায়, ‘বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলো হরণ করে। দেশমাতৃকার সেই চরম সংকটকালে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। জাতির সেই গভীর সংকটে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় সৈনিক ও জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে, এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।’

তিনি বলেন, এ পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে, গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়, বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘পরবর্তীকালে আবারও চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোয় ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে দমন করেছে; গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি ও অপশাসনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেও বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।’

সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এখন অত্যন্ত জরুরি।’

সারাবাংলা/এফএন/এমপি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর