ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ, পেশাদার ও মানবিক ভূমিকা এ বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমান বলেন, “দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তাদেরকে জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এ ভূমিকা অটুট থাকবে।”
বাণীতে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এই ঐতিহাসিক দিনটিকেই প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তিনি বলেন, “৭১ সালে রণাঙ্গণে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী অবদান ইতিহাসের অনন্য অধ্যায়। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাহিনীর সদস্যরা আজও অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তার ভাষ্যে— “সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তার সময়েই বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল ও ক্ষিপ্র আধুনিক শক্তিতে রূপ নেয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলেও সশস্ত্র বাহিনী আরও আধুনিক ও দক্ষ বাহিনীতে পরিণত হয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বাণীতে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সাত বীরশ্রেষ্ঠ—সিপাহী মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিপাহী হামিদুর রহমান, ইঞ্জিন রুম আর্টিফিসার রুহুল আমিন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ—এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্য এবং তাদের পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও দিবসের সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তারেক রহমান।