ঢাকা: সদ্য সংঘটিত ভূমিকম্পের পর ভবনগুলোর কাঠামোগত নিরাপত্তা যাচাই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ভূমিকম্প-পরবর্তী ভবন সুরক্ষা স্ক্যান সেবা উদ্বোধন করেছেন। গত ২৬ নভেম্বর বুধবার এই সেবা উদ্বোধন করেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করীম জানান, ভূমিকম্প পরবর্তী ভবন সুরক্ষা স্ক্যান সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, প্রকৌশল বিভাগ একটি বিশেষায়িত টিম গঠন করেছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং আশপাশের এলাকায় অভিজ্ঞ সিভিল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারগণ সরেজমিন পরিদর্শন করছেন।
ঢাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এলাকায় টিম ভিজিটের সময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ রইলো। প্রকৌশল টিমের পক্ষ থেকে নিচের নম্বরগুলো থেকে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে— +880 1731-923090, +880 1959-895769, +880 1717-303317
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ৫.৭ মাত্রায় ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্পের পর নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে বেশকিছু ভবন হেলেও পড়েছে। কোথাও কোথাও ভবনে ফাটল ধরা পড়েছে। এরপর কম মাত্রায় আরও চার দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ অবস্থায় আতঙ্ক ও ঝুঁকি বিবেচনায় বিনামূল্যে ভবন, বাসা, দোকান ঘর পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকৌশল বিভাগ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ভূমিকম্পের পর আপনার ভবন, বাসা, দোকান বা অফিসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই উদ্বেগ নিয়ে অবহেলা করা বিপজ্জনক। আপনার স্থাপনায় যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন অপরিহার্য। লক্ষণগুলো হলো— ফাটল বা দৃশ্যমান ক্ষতি; ভবন হেলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া; অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের প্রকৌশল বিভাগ অভিজ্ঞ সিভিল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ভূমিকম্প পরবর্তী ভবন সুরক্ষা স্ক্যান সেবা চালু করেছে। বর্তমানে এই সেবা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রদান করা হচ্ছে।’
জামায়াতের প্রকৌশল বিভাগের সেবাগুলো হলো— ভবনের প্রাথমিক ঝুঁকি মূল্যায়ন; প্রয়োজনবোধে সাইট ভিজিট ও পরিদর্শন; দৃশ্যমান ক্ষতি এবং সম্ভাব্য বিপদের চিহ্ন নির্ণয়; নিরাপত্তা নির্দেশনা ও জরুরি করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ; ভিডিও ডকুমেন্টেশন ও প্রাথমিক রিপোর্ট; প্রয়োজনবোধে এক্সপার্ট প্যানেলের যাচাইকৃত ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান।