ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া গত ১৫–১৬ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যায় আচরণ সহ্য করলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রাষ্ট্র দেখাতে পারেনি।
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে তার ওপর চাপানো অভিযোগগুলো আদালত ও জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আদাবরে জামিয়া আরাবিয়া আহসানুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানায় আয়োজিত কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীরাও। দোয়ার পাশাপাশি দুটি খাসি জবাই করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে বারবার টার্গেট করা হয়েছে। তাকে হয়রানি করা হয়েছে মামলার পর মামলা দিয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কাগজ বা প্রমাণ নেই, যা দেখাবে তিনি দুর্নীতি করেছেন। সাজানো অভিযোগ দিয়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘কারাগারে থাকা, দীর্ঘ সময় গৃহবন্দি থাকা এবং প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন। তবু কখনো দেশ ও জনগণকে পরিত্যাগ করেননি। তাকে প্রতিহিংসামূলকভাবে আচরণ করা হয়েছে— যেখানে এমনকি খাবারে বিষপ্রয়োগের শঙ্কাও মানুষের মনে রয়ে গেছে।’
রিজভী দাবি করেন, চোখের অপারেশনের পরও তাকে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ‘হাঁটতে হাঁটতে কারাগারে ঢোকা নেত্রীকে হুইলচেয়ারে বের হতে হয়েছে। এটি কেবল একজন নেত্রীর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়— এটি দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিশুদের দোয়া ও মাহফিলের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্যান্য নেতা ও সহ-কমিটি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।