ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত হয়েছে— তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার (৭ ডিসেম্বর) লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর নয়াপল্টনে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং এ পর্যায়ে লন্ডনের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা জরুরি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসক দলের ‘ফিট টু ফ্লাই’ সনদ মিললেই তাঁকে ইংল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।’
তিনি আরও দাবি করেন, খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাসের সময়ে ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের অপরাধমূলক অবহেলা ও নির্যাতন’ তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার জন্য ব্যাপকভাবে দায়ী। এ কারণেই আজ তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশজুড়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে বিপুল সংখ্যক মানুষ তার দ্রুত আরোগ্য এবং নিরাপদে দেশে ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকদের সম্মতি মিললে খুব দ্রুতই খালেদা জিয়াকে লন্ডনে পাঠানো হবে এবং উন্নত চিকিৎসায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
উল্লেখ, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণও দোয়ায় অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়।