ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ ও গণভোটকে সামনে রেখে আচরণবিধি প্রতিপালন ও প্রচারণায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে দলটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের মেইন কনসার্ন ছিল আচরণ বিধি।’ তিনি জানান, জামায়াত আমিরের নির্দেশনায় দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সারাদেশে তাদের পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে অন্য পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
সহকারী সেক্রেটারি বলেন, ‘আজকে এসব বিষয়ে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়া দায়িত্ব পালন করা; ম্যানুয়ালি ও ডিজিটাল বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেন এসব অপসারণ করা হয় এবং একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য বলেছি।’
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে ভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা কার্ড ও নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জামায়াত প্রতিনিধিরা।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘বড় একটি দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কার্ড, বিভিন্ন ধরনের ওয়াদা করছেন যে আমরা এতো লাখ, এতো কোটি কার্ড দিব, একেকটা কার্ডে এতো হাজার, এতো লাখ টাকা পাবেন এই ধরনের অনেকগুলো ওয়াদা করছেন। যেটা আচরণবিধির সুনির্দিষ্ট খেলাফ। এ ব্যাপারে উনাদেরকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। যেখানেই যতটুকু আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এনেছি।’
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়াসহ কয়েকটি দাবিও তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকে।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী যারা, যাদের উদ্দেশ্য অসৎ থাকবে তারা নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য বানচাল করার জন্য একটা বড় ধরনের সুযোগ পেয়ে যাবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে একটা মেসেজ হবে যে এখানে সিসি ক্যামেরা আছে। আমরা এটা আগেও দৃষ্টি আসন করেছি সিরিয়াসলি বলেছি।’