ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং বিএনপির জোটসঙ্গী এলডিপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ৮ দলীয় জোটের পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা শফিকুর রহমান এ ঘোষণা দেন। এ সময় মঞ্চে জামায়াত আমিরের বাম পাশের চেয়ারে বসেছিলেন অলি আহমদ। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে তিনি কোনো কথা বলেননি।
জানা গেছে, এলডিপির অলি আহমদকে ছয়টি আসন দেওয়া হতে পারে। এবি পার্টির আসন সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে আসন তিন-চারটির বেশি হবে না।
কমপক্ষে ৩০টি আসন নিয়ে জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে এনসিপি। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের আসন সংখ্যা এনসিপির কাছাকাছিই থাকছে বলে জানা গেছে।

৮ দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের পাশে কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম। ছবি: সারাবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের এই জোটে এনসিপি যুক্ত হচ্ছে। তারা এখানে উপস্থিত হতে পারেনি। খুব শিগগিরই তারা সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদেরকে জানাবে।’
কোন দল কত আসন পাচ্ছে জানতে চাইলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানাবো।’
সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনূল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ ৯ দলের শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন-আট দলে যোগ দিল এলডিপি ও এনসিপি
প্রসঙ্গত, কর্নেল অলি আহমদ এক সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে এলডিপি গঠন করেন। এবারেও তার বিএনপি জোটে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় তিনি বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পর মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এলডিপি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। তাকে কুমিল্লা-৭ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দেয়। এর দুদিন পর অলি আহমদ জামায়াত জোটে যোগ দিলেন।
উল্লেখ্য, আট দল হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।