ঢাকা: বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো এবং লেখক মারুফ মল্লিকের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজের পক্ষে কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ ৪১ জন নিন্দা জানিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও শঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগের দমনমূলক শাসনের সময়ে মানুষ তার মত প্রকাশ করতে পারত না। সরকারি বয়ান বা তথ্যের বাইরে কেউ কিছু বললে তার ওপর হামলা, মামলা, গুম-খুনের মতো ভয়াবহতা নেমে আসত। শুধু মত প্রকাশের কারণে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হওয়ার একাধিক নজির আছে। ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো এবং মারুফ মল্লিকের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকার সম্পাদকের মামলার আবেদন সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ বলে মনে হচ্ছে, যা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘আমরা অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে বলছি যে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন এই তিন ব্যক্তি। গণঅভ্যুত্থানেও তাদের অংশগ্রহণ ছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী নিজেদের মধ্যে বিভাজন কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তার উদাহরণ এই মামলার আবেদন।’
বিবৃতির শেষ পর্যায়ে তারা বলেন, ‘দু’টি সংবাদমাধ্যমে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, ছায়ানটের মতো জাতীয় গৌরবময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টা; আমাদের সামনে ভয়াবহ আতঙ্ক হিসাবে বিরাজ করছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এমন সময়ে শুধু ফেসবুকে কিছু প্রশ্ন উত্থাপনের কারণে একটি পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে দু’জন সুপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন সেই আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দেয়।’
এ পরিপ্রেক্ষিতে তারা সবধরনের মতপ্রকাশের বাধাহীন পরিবেশের নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে যারা সম্মতি জানিয়েছেন তারা হলেন-
- অরূপ রাহী, শিল্পী
- আর রাজী, সাংবাদিকতার শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- আ-আল মামুন, শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- জাহেদ উর রহমান, শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
- পাভেল পার্থ, লেখক ও গবেষক
- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, লেখক
- ফাতেমা শুভ্রা, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- রাসেল রায়হান, কবি
- এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
- জব্বার আল নাঈম, কবি ও কথাসাহিত্যিক
- সাঈদ বারী, প্রকাশক
- কামরুল আহসান, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
- তুহিন খান, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী
- মীর হুযাইফা আল মামদূহ, গবেষক
- মৃদুল মাহবুব, কবি
- শামীম আরা নীপা, অ্যাক্টিভিস্ট
- জাহিদ জগৎ, লেখক
- মাহবুবুর রাহমান, প্রকাশক
- সাদ রহমান, লেখক ও এক্টিভিস্ট
- উপল বড়ুয়া, কবি ও সাংবাদিক
- সোয়েব মাহমুদ, কবি
- রহমান হেনরী, কবি
- আশরাফ জুয়েল, কথাসাহিত্যিক
- আবুল ফজল, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
- চঞ্চল বাশার, কবি
- মহসিন আহমেদ, গীতিকার ও সংগঠক
- দীপান্ত রায়হান, সদস্য সচিব, ষড়ঋতু উদযাপন জাতীয় পর্ষদ
- রুদ্র আল মোত্তাকিম, গবেষক
- অর্বাক আদিত্য, কবি
- মাহবুবুর রহমান, প্রকাশক
- সাইদুন নবী, গণমাধ্যমকর্মী
- আরিফ রহমান, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মী
- মোহাম্মদ শাজাহান, শিক্ষক ও কলামিস্ট
- হুমায়ুন কবীর, গবেষক ও এক্টিভিস্ট
- আবুল কালাম আল আজাদ , লেখক ও পরিবেশকর্মী
- সালাহ উদ্দিন শুভ্র, লেখক
- গোলাম সারওয়ার, সহযোগী অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- ইমামুল বাকের, এ্যাপোলো ফিল্মমেকার
- মিসবাহ জামিল, কবি
- মোল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ, ফটোগ্রাফার