ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে জমা দেওয়া হলফনামায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ টাকা। একই সঙ্গে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।
নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আয়ের উৎস
- হলফনামা অনুযায়ী, মির্জা ফখরুলের বার্ষিক আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো—
- পরামর্শক (পেশা): ইজাব গ্রুপের পরামর্শক হিসেবে সম্মানী ৬ লাখ টাকা
- ব্যবসা: হুরমত আলী মার্কেটের শেয়ার থেকে আয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৩২ টাকা
- চাকরি: ‘দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড’ থেকে সম্মানী ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা
- কৃষি খাত: ১ লাখ ৮০০ টাকা
- ব্যাংক মুনাফা: ৭ হাজার ৯০১ টাকা
স্থাবর সম্পদ
হলফনামায় উল্লেখ করা স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে—
- কৃষিজমি: তার নামে ৫ একর (মূল্য ৬০ হাজার টাকা) এবং স্ত্রীর নামে ২ দশমিক ৮৪ একর জমি (মূল্য ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা)
- অকৃষি জমি: ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর নামে ১২ শতাংশ জমি (মূল্য ৩৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা) এবং ঢাকার পূর্বাচলে ৫ কাঠা জমি (মূল্য ৮৫ লাখ ৪ হাজার টাকা)
- আবাসিক সম্পদ: ঢাকায় ১ হাজার ৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট (মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা) এবং পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দোতলা বাড়ির একটি অংশ (মূল্য ১০ লাখ টাকা)
অস্থাবর সম্পদ
হলফনামা অনুযায়ী, মির্জা ফখরুলের মোট অস্থাবর সম্পদের অর্জনকালীন মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। এর মধ্যে—
- নগদ অর্থ: নিজের কাছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১৬ টাকা এবং স্ত্রীর কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩০ টাকা
- ব্যাংক জমা: নিজের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ টাকা এবং স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ হিসাবে ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪ টাকা
- বিনিয়োগ: ‘দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার এবং স্ত্রীর নামে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৭৫০ টাকার সঞ্চয়পত্র
- অন্যান্য সম্পদ: দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি, ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য উল্লেখ নেই), ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র এবং উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া একটি দুই নালা বন্দুক
হলফনামার আইনি অংশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মোট ৫০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে এর বেশিরভাগই আদালতের আদেশে স্থগিত, প্রত্যাহার বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে এসব মামলার কোনোটি তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আইনগত বাধা নয়।
হলফনামার শেষে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন এবং সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ যোগ্য।