Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পোস্ট-অপারেটিভে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে ওবায়দুল কাদেরের আরও ২২ ঘণ্টা


২১ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৭

মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে: বাইপাস সার্জারির পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পার হলেই তাকে জাগানো হবে। এরই মধ্যে প্রায় ২৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ারে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে রয়েছেন।

সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এখন অবস্থান করছেন সারাবাংলার এই করেসপন্ডেন্ট। তিনি জানতে পেরেছেন, সেখানে চিকিৎসকরা ওবায়দুল কাদেরকে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রেখেছেন। এই মূহূর্তে তাকে দেখার সুযোগ খুবই সীমিত করে রাখা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে ভিআইপি পদমর্যাদার কেউ এলেও দেখতে যেতে পারছেন না। দেশের উচ্চ পর্যায় থেকেও সে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

তবে ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের এবং শরীরের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সিঙ্গাপুর সময় বিকেল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) চিকিৎসকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে সেই ব্রিফ সারাবাংলা ডটনেটের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

এর আগে, ১৯ মার্চ সফল সার্জারির পর থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি ওবায়দুল কাদেরের অস্ত্রোপচার পরবর্তী অগ্রগতি পরিবারের সদস্যদের ব্রিফ করেছেন। তখনই তিনি জানান, সার্জারির পর তাকে ৪৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, হাসপাতালে লবিতে ওবায়দুল কাদেরের ভিজিটরদের জন্য একটি রেজিস্ট্রার বই রাখা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনসহ যারা যাচ্ছেন, তারা সেই বইতে সই করে যেতে পারছেন। পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ার থেকে তাকে কেবিনে নেওয়ার পর তার সঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা করার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদেরের পরিবার তার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।

৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বসনতন্ত্রের জটিল রোগ ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (সিওপিডি) ভুগছেন।

গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হন। এসময় এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ এয়ার আম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সে রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

সেখানে আইসিইউতে কয়েকদিন রেখে চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে কাদেরকে ১৩ মার্চ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তার সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯ মার্চ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয় তার বাইপাস সার্জারি। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এমএম

obaidul qader ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা সিঙ্গাপুর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর