Thursday 12 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আ. লীগ কখনো চমক সৃষ্টির কাউন্সিল করে না’


১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪০ | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল শুরু ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার)। চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই কাউন্সিলে কী হতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কেন্দ্রীয় কমিটি নতুন করে গঠন করা হবে এই কাউন্সিলে, সেটা নিয়ে রয়েছে নানা আশা-প্রত্যাশা, উদ্বেগ চিন্তার দোলাচল। তবে এবারের কাউন্সিল নানা কারণেই গুরুত্ব পাচ্ছে। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে যারা নির্বাচিত হবেন, তারাই বাস্তবায়ন করবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত-বার্ষিকীর উদযাপন। তারাই বাস্তবায়ন করবেন দেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী। তারাই দেখাবেন দলের অন্যতম ভিশন ২০২১ এর বাস্তবায়ন। এসব কারণেই কাউন্সিল গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনীতির সকল মহলে।

বিজ্ঞাপন

এই কাউন্সিল সামনে রেখে সারাবাংলা কথা বলেছে ব্োরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক তিনি। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে। ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক হন। আর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর দলের এই নির্ভরযোগ্য কর্মীকে ব্যক্তিগত সহকারী করে নেন। দলের ও দলের প্রধানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করার অভিজ্ঞতা তার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে তার কাছে সারাবাংলার প্রশ্ন ছিলো কেমন চমক আসতে যাচ্ছে এবারের জাতীয় সম্মেলনে?

উত্তরে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে চমক সৃষ্টির কোনও সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ কাজে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে ডুয়ার। দলের নেতৃত্বে কত দ্রুত রাষ্ট্র সামনে এগিয়ে যাবে সেটাই হচ্ছে এই দলের চমক।

তবে এখানে লিডারশিপের ক্যারিশমা যার আছে তিনি শেখ হাসিনা, যোগ করেন এই নেতা। বলেন, শেখ হাসিনা ম্যাজিকেই কিন্তু আজকে রাষ্ট্র ব্যবস্থা কিংবা রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন চিত্র আমূল পাল্টে গেছে।

তাহলে কাউন্সিলটা কেমন হবে? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের দলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল হয়। আওয়ামী লীগে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সকলেই কাজ করি। শেখ হাসিনার টিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

টিমের অন্য সদস্যদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে করি, ৮১ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি রয়েছে, সেটি আমাদের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংখ্যার তুলনায় অত্যন্ত ছোট। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে গঠণতন্ত্র অত্যন্ত সুশৃংখল এবং পরিচ্ছন্ন। ফলে এর মধ্য দিয়ে যে কমিটি গঠিত হয় সেটিও স্বচ্ছ ও স্পষ্ট। এবারের কাউন্সিলে তার ব্যতিক্রম হবে না।

এই কমিটির যেনো গুরুত্ব থাকে। কমিটি যাতে ওয়েট ক্যারি করে সেটা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে খেয়াল রেখেই এর সদস্য নির্বাচন করা হয়, বলেন তিনি।
‘এই কমিটিতে যারা থাকেন, তারা সকলেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছেন। দলের প্রধান সারাদেশ থেকে খুঁজে বের করে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি গ্রহণ করেন এবং সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবারও তিনি একইভাবে কমিটি গঠন করবেন। আমরা আশা করি সেটিই হবে।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে এবারের জনগণের কাছে রাজনৈতিক দল হিসাবে কি প্রত্যয় ও অঙ্গীকার থাকবে? প্রশ্ন ছিলো সারাবাংলার।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাস নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এ জাতির বর্তমান সময়কেও ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই কিন্তু আগামীর যে বাংলাদেশ, তারও ইতিহাস নির্মাণ করবে। তবে আওয়ামী লীগের একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে এই দেশের জন্ম লাভ হয়েছে। সেই দেশের জনগণকে সেবা দেওয়া, কল্যাণের পথে নিয়ে আসা, এটা কিন্তু আওয়ামী লীগের একটি দায়বদ্ধতা। সেই থেকেই আওয়ামী লীগ সব সময় কাজ করে। দেশের মানুষের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে দলকে পরিচালনা করার জন্য আমাদের যে সব প্রক্রিয়া রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় দলের ২১তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু রাজনীতির নেতৃত্বের পালাবদল নয়, আওয়ামী লীগ আমরা যারা করি, আমাদের কাছে মনে হয়, যে চেতনা, আদর্শ এবং অঙ্গীকারকে সামনে রেখে এই দলের সৃষ্টি হয়েছিল এবং ৭০ বছরের ধারাবাহিকতার এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কল্যাণের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মনিয়োগ করেছে, তারই ধারাবাহিকতায় সেই নীতি আদর্শের প্রতিও আমরা যে অবিচল আছি, আমরা যে অঙ্গীকারবদ্ধ আছি, পুনরায় তার প্রত্যয় ব্যক্ত করার দিনটিই হচ্ছে জাতীয় কাউন্সিলের দিন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রায়শই বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পরিবার। পরিবারের সেই চেতনার প্রকাশ এবারের সম্মেলনে দেখা যাবে কী? প্রশ্ন সারাবাংলার।
ঠিকই বলেছেন, নেত্রী নিজেই বারবার বলেন, আওয়ামী লীগ একটা পরিবার, বলেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, এই পরিবারের বিস্তৃতি তৃণমূল থেকে রাজধানী ঢাকার জাতীয় নেতৃবৃন্দ পর্যন্ত। এই সকল নেতার পুর্নমিলনী সম্মিলন হচ্ছে জাতীয় কাউন্সিল। তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি যা যা করার দরকার, সংগঠন তা নিয়েছে। আমাদের যারা আসবেন, তারা যাতে এই কাউন্সিলে ভালোভাবে, স্বাচ্ছন্দ্যে অংশ নিতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া দলের শৃংখলা, শক্তি, সংহতিকে যাতে আমরা জাতীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারি, সেইদিক থেকেও আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সারাবাংলা: বরাবরের মতো এবারও বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অপরিহার্য ধরে জাতীয় সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর বাইরে সাধারণ পদ নিয়ে দল এবং দলের বাইরে নানামুখী কৌতুহল রয়েছে, নয় কি?

বিপ্লব বড়ুয়া: আমাদের দলের প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ত্যাগ, মেধা, দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীতে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগকে কয়েকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ এনে দিতেও সফল হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি তার আদর্শ-নীতি দিয়ে, তার রাজনৈতিক উপযুক্ততা এই জাতির সামনে প্রমাণ করেছেন, বিশ্বের কাছে এই কারণেই তিনি নন্দিত হয়েছেন। আমরা যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আমরা নিজেদের অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি যে বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো একজন মানুষ আমাদের নেতা। শেখ হাসিনা এখনো আমাদের মাথার উপরে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহুর্তে আমি মনে করি, বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দেয়ার মতো, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন বিকল্প যেমন নেই। অনুরূপভাবে আওয়ামী লীগেরও নেতৃত্ব দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার সমপর্যায়ে কোন নেতা নেই। তিনিই আমাদের অনিবার্য এবং নেতা।

আর দলের কাউন্সিলর যারা আসবেন, প্রতিবারেরই আমরা দেখেছি, দলের সকল নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল। প্রতিবারেরই তারা নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভার নেত্রীর উপর ছেড়ে দেন। তিনি অবশ্যই দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে, ২১তম কাউন্সিলে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন। সেখানে অনেকে পদোন্নতি পেতে পারেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে প্রক্রিয়ায় যারা দলের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কর্মকাণ্ডের বিবেচনায় অবশ্যই তারা পদোন্নতি পাবেন। এছাড়া নতুন মুখও আসবে। যারা যোগ্য তারা স্থান পাবেন। আর যারা যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন, দলের বিবেচনায় তারা হয়ত বাদ যাবেন। এটাই প্রক্রিয়া। প্রতিবারের মত এবারের জাতীয় কাউন্সিলেও তার ব্যত্যয় হবে না।

বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্মের রক্তউত্তরাধিকারীদের কাউকে নেতৃত্বে দেখা যাবে কী? এমন প্রশ্নে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা এবং দল পরিচালনায় তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছতা, গণতান্ত্রিক নীতি এবং জবাবদিহিতার নীতি অনুসরণ করেন। আমাদের রাষ্ট্রটি আজ যে রিফর্মড হয়েছে, একটি আধুনিক প্রযুক্তিমুখী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির নামে। এটা কিন্তু আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য সন্তান আমদের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমাদের নেত্রীর একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, তিনিও আজকেও নিজ যোগ্যতায় অটিজম নিয়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন। সারাবিশ্ব আজ তার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত করেছে। সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদসরা সকলেই কিন্তু স্ব-মহিমায় উজ্জল। নিজ নিজ যোগ্যতায় কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠিত। তারা সকলেই কিন্তু যোগ্য এবং অত্যন্ত নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী। দল যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে সাথে পায়, আমি মনে করি, দল তাতে সমৃদ্ধ হবে। প্রতিবারের মতো এবারও এমন একটি প্রত্যাশা দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে। এখন দেখা যাক এই প্রত্যাশা আমাদের পূরণ হয় কি না?

প্রতিটি সম্মেলনেই আওয়ামী লীগ তরুণ নেতৃত্ব উপহার দেয়। সে ধারাবাহিকতায় এবারও তরুণ নেতৃত্ব দলে ঠাঁই পাচ্ছে কী?

বিপ্লব বড়ুয়া: যারা কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি মনে করি তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। এটি একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু যে দলের নেতা ছিলেন এবং তার কন্যা যে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেখানে কর্মী হওয়া অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, সম্মানের বিষয়। আমাদের মতো একেবারে সাধারণ মানুষকে এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেত্রী কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, অনেকেই পেয়েছেন। আমাদের দলে কিন্তু অনেক যোগ্য, মেধাবী ত্যাগী, পরীক্ষিত মেধাবী তরুণ নেতৃত্ব রয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিন্তু ৮১ সদস্য বিশিষ্ট। এই কমিটি যখন গঠন করা হয়, সেখানে অনেক কিছু বিবেচনায় থাকে। দলের প্রবীণ নেতারা রয়েছেন যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের এমন নেতারা রয়েছেন, যারা ৭৫ পরবর্তী ভয়াল দুঃসময়ে জিয়া-এরশাদ স্বৈরাচারের সময়ে এই দলকে রক্ষা করেছেন, বিভিন্ন সংকটে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরেকটি প্রজন্ম আছে, যারা আমাদের সমসাময়িক। তারাও কিন্তু অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে মেধাবী, যোগ্য, ত্যাগী অনেকেই রয়েছেন। এখন সার্বিক বিবেচনায় হয়তোবা সকলের কাজ করার সুযোগ হয় না। গত কাউন্সিলে আমার মতো অনেকেই সুযোগ পেয়েছেন। আমরা নিজস্ব যোগ্যতা দিয়ে, সততা দিয়ে ত্যাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি, আমাদের কাজগুলো করার। কতটুকু করতে পেরেছি, কতটুকু সফল হয়েছি, ব্যর্থ হয়েছি, সেটি আমাদের দলের নেতাকর্মী বিবেচনায় নেবেন। সেই বিবেচনা থেকেই নতুন যারা এসেছেন তাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। এবং নতুনদের কাজ করার একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই কাউন্সিলেও তার ধারাবাহিকতায় নতুন মুখ আসবে বলেই আমি মনে করি।

সরকারের শুদ্ধি অভিযানের আঁচ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় লাগবে কী? এমন প্রশ্নে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমাদের নেত্রী প্রায়শঃই বলেন, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলে জনগণের সাথে মানুষের একটা গ্যাপ হতে পারে। তারপরও আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহস নিয়ে দৃঢ়তা নিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কিংবা দলকে পরিচালনায় এমনকি দলের ব্যবস্থাপনায়ও যে সমস্ত ছোটখাট ক্রুটি দেখেছেন, সেগুলো সংশোধনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে যারা অনিয়ম করেছে, যারা প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন এবং অন্যদের ব্যবসার সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই ব্যবসা কুক্ষিগত করে রেখেছেন, নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, এ সমস্ত বেআইনী ব্যবসা, নিয়ম ভঙ্গ করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যারা নিয়েছেন তাদেরকে তিনি আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন। দলের নেতৃত্ব গঠনেও তিনি নিশ্চয়ই সেটা মনে রাখবেন।

আপনি তো ২০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন? একজন তরুন নেতার জন্য দলের ভেতরে ভূমিকা রাখার সুযোগ কতটুকু?

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগে আমার মতো অনেকেই রয়েছেন। ত্যাগী, মেধাবী অনেকেই অতীতে বিভিন্নভাবে দলের জন্য রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি খুব ভাগ্যবান যে, গত কাউন্সিলে আমাকে দলের দপ্তর সামলানোর দায়িত্বে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমার মতো একজন খুব সাধারণ কর্মীকে উপ-দপ্তর সম্পাদকের মতো একটি মর্যাদা সম্পন্ন পদে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় তারুণ্যের ওপর দলের আস্থা রয়েছে। দল আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমিও তার প্রতি সম্মান রেখে গত তিন বছর কাজ করেছি। আমাদের বড় একটি কাজ ছিল একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দপ্তরের কাজগুলোতে আমার ওপর আস্থা রেখেছে আমার দল। সেদিক থেকে বলতে পারি দল কেবল নেতৃত্বই দেয় না, কাজের সুযোগও করে দেয়। যা যে কোনও তরুণ নেতৃত্বের জন্য উৎসাহের।

সারাবাংলা/এনআর/এমএম

২১তম জাতীয় সম্মেলন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৯ কাউন্সিল ২০১৯ ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর