Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৫ মার্চ রাতটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর?


২৬ মার্চ ২০১৮ ০০:৪৯

মাহবুব স্মারক, অতিথি লেখক

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাসাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আর সেই বাড়ি লাগোয়া পুব দিকের ৬৭৮ নম্বর বাড়িটি ছিলো তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বন বিভাগের এক বড় র্কমর্কতার। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক প্রতিবেশী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্বতমান উপ উপার্চায নাসরীন আহমাদদের বাড়ি ছিলো এটি। তার মা বেগম বদরুন্নেসা আহমদ করতেন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি। সেই সূত্র ধরে, ৫৪ এ যুক্তফ্রন্টের সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে তাদের পারিবারিক সখ্য।

বদরুন্নেসা বঙ্গবন্ধুকে ডাকতেন মুজিব ভাই। বঙ্গবন্ধুও স্নেহ করতেন তাঁকে। সেই সময়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন নাসরীন আহমাদের মা বেগম বদরুন্নেসা আহমদ। সে সব নিয়েই কথা হচ্ছিলো নাসরিন আহমাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর মা’ই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাথে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের সূত্র। তারা ছিলেন ভাই-বোনের মতো। সে সূত্রে বঙ্গবন্ধুকে তিনি মামা বলে ডাকতেন।

তাদের দুই পরিবারের দুই বাড়ি। দুই বাড়ির মাঝখানে একটা কোমর সমান উঁচু দেয়াল। দেয়ালের মাঝে আবার ছোট একটা গেট। যা দিয়ে দুই পরিবারের নিজেদের মধ্যে গতায়ত চলে। এভাবে যাওয়া আসার মধ্য দিয়ে দুটি পরিবার এক হয়ে উঠেছিলো।
১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এক সাথেই ছিলো পরিবার দুটি। বঙ্গবন্ধু তাঁকে তার ডাক নাম শীলু বলে ডাকতেন। ১৯৭১ এর নানা স্মৃতি ও ঘটনার সাক্ষী এই শিলু। তবে ’৭১’র ২৫ মার্চের কালো রাত্রির স্মৃতি তার সবচেয়ে জ্বলজ্বলে হয়ে এখনো চোখে ভাসে। সে স্মৃতির কথাই শোনাচ্ছিলেন নাসরিন আহমাদ।

২৫র্মাচ ১৯৭১। গোটা দিনটি ছিলো থমথমে। সেভাবেই দিন পেরিয়ে রাত নামলো ঢাকায়। সেই সময়টায় সবাই আঁচ করতে পারছিলেন ভয়ংকর কিছু একটা ঘটবে। যারা একটু ভালো বুঝতে পারতেন, তারা জানতেন ওই রাতেই ঘটতে যাচ্ছে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনা। আমরাও বুঝতে পেরেছিলাম। এভাবেই বলতে শুরু করেন নাসরিন আহমাদ।

তিনি বলেন, একাত্তররে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতেই পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছিলো। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সব ঘটনা খুব দ্রুত গতিতে ঘটতে থাকে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দিলেন। তারপর প্রতিটি দিনই ছিলো অন্যরকম। আর সেভাবেই এসে পড়ে ২৫ মার্চ। সকাল থেকেই বাড়ির সকলে আঁচ করছিলেন কিছু একটা ঘটবে ঘটবে করছে!

নাসরীন আহমাদ বলে চললেন…‘এখনও স্পষ্ট মনে আছে ২৫ মার্চ সকাল বেলা আমি আর আমার মা কোথায় যেন গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি, বাসার সামনে সিরাজুল আলম খান। আমার মাকে খালাম্মা বা আপা বলেই ডাকতেন বলেই মনে হয়। তিনি আমার মাকে বললেন, ‘আজ রাতে দেখাবো!’ ইস্পাহানি বা আদজমীর বাড়ি আক্রমণ করবে এই রকম কিছু একটা বলছিলেন সিরাজুল আলম খান। আমার মা খালি বললেন, ‘কোন হঠকারিতা করো না যেন! যা করবে অনেক চিন্তা ভাবনা করেই করো। তারপর জনাব খান কোথায় যেন চলে গেলেন।’

সন্ধ্যা থেকে আমি বাসায় আছি। সেটা রাত বারোটা বা সাড়ে বারোটার দিকে হবে। এমন সময় বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করে আমাদের ঘরে ঢুকে হন্তদন্ত হয়ে আমাকে বললেন…, তাজউদ্দিন কোথায়?…এই তাজুউদ্দিনকে দেখেছিস? আমি বললাম, না তো! তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন। আবার কী যেন ভেবে ফিরে এলেন। আমাদের ড্রয়িং রুম। দক্ষিণে তার তিনটা জানালা। তিনি সেখানে ঢুকলেন। জানালার পর্দাগুলো তিনি নিজেই সেঁটে দিলেন। বসলেন। আমাকে বললেন, শীলু এক কাপ চা দে… চা আনতে আমি উঠে যাচ্ছি। বাড়িতে আর কেউ নেই। কী ভেবে বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, কোথায় যাচ্ছিস? আমি বললাম, চা বানাতে বললেন যে! আবার কী ভেবে বললেন, থাক, দরকার নেই। এই দিকে আয়। কাছে যেতেই মামা, আমার হাতটা ধরলেন। বললেন, আজ রাতটা খুব খারাপ! আমি কী বুঝে বললাম, মামা আপনি পালিয়ে যান। উনি সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে বললেন, তোর এই মামাটাকে কোথায় লুকাবি? এরপর বললেন, না। তোরা সব ভালো থাক। সাবধানে থাক। আমি দেখি। আমি কী করবো।

বঙ্গবন্ধু বলে চললেন… ওরা আমাকে না পেলে, বস্তির পর বস্তি জ্বালায়ে পুড়িয়ে দেবে। গ্রাম থেকে গ্রাম খুঁজে বেড়াবে। জ্বালিয়ে দেবে। এই বলে উনি আমাদের বাসা থেকে চলে গেলেন। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে ঐ তার শেষ দেখা। অতটুকুই কথা!

নাসরীন আহমাদ জানালেন, ২৫ মার্চ সারাদিন অনেক ঘটনা, অনেক কথা। সন্ধ্যের দিকে, আশপাশ থেকে ধানমন্ডি ৩২ এ অনেক লোকের আনাগোনা তিনি দেখেছেন।

আরেকটি স্মৃতির কথা স্মরণ করে বলেন, একেক জন একেক রকম কথা বলছিলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তখন। আমিনুল হক বাদশা (সেই সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন) ছিলেন তাঁর ফুফাত ভাই। সেই সময় পৃথিবীর নানান দেশের সাংবাদিকরা ঝাঁকে ঝাঁকে ঢাকার এসেছিলো। বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে একটা যোগাযোগ হয়ে গেছে আমিনুল হক বাদশার। তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

নাসরিন আহমাদ বলেন, সেই রাতে আমিনুল হক বাদশাকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিলো। কী ব্যাপার! বললেন, সব সাংবাদিকরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অপেক্ষা করছেন । তাঁকে একটা নিউজ নিয়ে যেতে হবে। বিদেশি সাংবাদিকদের দিতে হবে। আমিনুল হক বাদশা চলে গেলেন। সাথে নিলেন নাসরীন আহমাদের দুই ভাই দুই রক্তন আর গর্জনকে। আমিনুল হক বাদশার কাছে ছিলো একটা পিস্তল । যাবার আগে তিনি পিস্তলটা হাতে নাসরীন আহমাদের কাছে রেখে গেলেন। নাসরীন আহমাদ বলে চললেন…

সেই রাতে দুই বাসাতেই ফোনের পর ফোন বেজেছে। সময়টা ঠিক মনে নেই। বিদেশি সাংবাদিকরা ফোন করছে… তারা জানাচ্ছে, আর্মিরা তাদের ঘিরে ফেলেছে। শেখ মুজিবকে এটা জানাও। সেই রাতে বাসায় কেবল তিনি, তার মা বাবা আর তাঁর ছোট একটা বোন।

যাক সাংবাদিকদের দেয়া তথ্য দৌড়ে গিয়ে বললেন বঙ্গবন্ধুকে। তিনি বললেন, এখন কী করা! বঙ্গবন্ধু তখন বেশ উত্তেজিত। সবাইকে বলা হচ্ছে, আপনারা কেউ ৩২ নম্বরের রাস্তায় থাকবেন না। যার যার মতো চলে যান।

আবার ঐদিকে ফোন বাজছে। তারপর হঠাৎ দূরে একটা গুলি…কিছুক্ষণ পর, সেই গুলির শব্দটা এগিয়ে আসছে। হঠাৎ আরেকটা ফোন ক্রমাগত কোথায় যেন বেজেই চলেছে। পরে দেখা গেলো সেটা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিচ তলা যেখানটায় গাড়ি রাখা হয় সেখানেই বাজছে। ক্রমাগত বেজে চলা ফোনটা দৌড়ে গিয়ে তুললেন তাঁর বাবা। ঐ প্রান্ত থেকে বলা হলো…’ আমি সেনানিবাস থেকে বলছি, বাংলায় বলছি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে অনেকগুলো কনভয় বেরিয়ে শেখ সাহেবের বাড়ির দিকে গেছে। উনাকে এক্ষুনি খবরটা দেন।’

…ফোনের এই বার্তাটা নিয়ে সোজা বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলেন তাঁর বাবা। সোজা বাড়ির দোতলায়। তিনি দেখেন দুই জন লোক সম্ভবত, গোলাম মুরতাজা, আরেক জন সম্ভবত হারুন সাহেব, যিনি এরশাদ সরকারের সময় মন্ত্রী ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর সাথে বৈঠকে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু উনাদের কী যেন বলে পাঠিয়ে দিলেন। নাসরীন আহমাদের বাবা বঙ্গবন্ধুকে ফোনের বার্তা পৌঁছে দিলেন।

সেনানিবাস থেকে সেনাদের বেরিয়ে তাঁর বাড়ির দিকে আসার খবরে বঙ্গবন্ধু চুপ হয়ে গেলেন। কী যেন ভাবলেন। শেখ মুজিব তাঁকে বললেন, ’একটা কাজ করো। তোমাদের বাসার দরজা লাগিয়ো না। সামনে আর পেছনে কোন দিকেরটাই না। আমি যদি মনে করি তোমাদের বাসায় যাবো, তাহলে এদিকটা দিয়ে চলে যাবো।’

তাঁর বাবা সেটাই করলেন। বাসায় ফিরে এলেন। এবং বাসার সামনের ও পেছনের দুটি দরজাই খোলা রাখলেন।

নাসরীন আহমাদ বলে চলেন… আমাদের বাড়ির পেছনের সীমানা দেয়ালটা অনেক উচু, তার পাশে একটা টেবিলও পেতে রাখলেন। এরমধ্যে কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘিরে আর্মি অবস্থান নিতে শুরু করেছে। ৩২ নাম্বার রাস্তার দিক থেকে একটা গুলির শব্দ এলো। এসব দেখে আমার মা ছোট বোনটাকে নিয়ে, বাড়ির ভেতরে সরু একটা রাস্তায় বসে রইলেন। আমি আর আমার বাবা জানালার নিচে বসে রইলাম। আমাদের জানালার নীচে একটা ফোন রাখা। জানালাটা দিয়ে সোজা আমাদের বাসার মূল গেটটা দেখা যায়। মূল রাস্তাটাও দেখা যায়। একটা ল্যাম্পপোস্ট, আলো জ্বলছে। এমন সময় হঠাৎ আরেকটা গুলি হলো। দেখছি একটা লোক রাস্তার ওপর পড়ে গেলো। আর কিছু দেখছি না। শুধু বুঝা যাচ্ছে যে লোকটার গায়ে গুলি লেগেছে। লোকটার পায়জামা পরা পা টা শুধু উঠছে আর নামছে। এক সময় তা থেমে গেলো। আর বুঝতে পারছি আর্মির চলাচল। বুটের আওয়াজ পাচ্ছি। গ্যালোপিং করে সব এগুচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাসার গেটে অনেক ধাক্কা পড়ছে। আমাদের গেইটেও একটা ধাক্কা পড়লো। এক ঝাটকায় গেইটটা খুলে গেলো। বাসার চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকেই তাদের একজন চিৎকার দিয়ে বললো, পজিশন! আমরা কিন্তু এসব দেখছি জানালার সেই কোনা দিয়ে। দেখছি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব সেনারা দাঁড়িয়ে গেলো। নেক্সট মোমেন্টেই বললো, চার্জ! কয়েকজন আমাদের বাসার দিকে এগুলো। বাকি সবাই লাফিয়ে ঢুকলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ভেতরে। আমরা ওখানেই বসে আছি। গুলি চলছে। সাথে চলছে খুব গালিগালাজ। গুলি চলছে। সবার খুব উঁচু গলা। তারপর এক সময় গোলাগুলি থেমে গেল। তার অনেকক্ষণ পর, বঙ্গবন্ধুর বাসার গেইট খোলার শব্দ পাওয়া গেলো। বড় একটা যান, হতে পারে ট্রাক, জোর আওয়াজে বাসার সামনে দিয়ে চলে গেলো। খালি একটা উচুঁ গলায় এক শব্দ শুনলাম… ’জয় বাংলা’। তারপর শান্ত একটা পরিবেশ নেমে এলো। গুমোট একটা পরিবেশ।

এভাবেই বঙ্গবন্ধুকে সে রাতেই পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে গেলো। তারপর সব শান্ত। সেই রাতেই বঙ্গবন্ধুর ড্রাইভার জানিয়ে গেলেন, শেখ মুজিবকে ধরে নিয়ে গেছে মিলিটারিরা। আর বাকিরা সব ভালো আছে। তারপরও রাত কেটেছে ঘোর ভয়ে।

২৬ মার্চ সকালেও কেউ জানে না কোথায় কী ঘটেছে? জানাই যায়নি এতো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে গোটা শহরে। ২৬ মার্চ সকালেও দুই বাসায় তারা আসা যাওয়া করেছেন। বললেন, সকালেই ঐ বাসা থেকে ছুটতে ছুটতে জামাল এলো। কী ব্যাপার!? তখন কিন্তু রাস্তায় মাইকিং করা হচ্ছে। তখন ঘরে ঘরে, বাসার ছাদেও উপর বাঁশ দিয়ে জাতীয় পতাকা, কালো পতাকা ছিলো। মাইকে বলা হচ্ছে, এসব পতাকা যেন নামিয়ে ফেলা হয়, নইলে গুলি করবে। তাদের বাসার উপরে পতাকা উড়ছে, তাই জানাতে আসলো জামাল।

২৬ মার্চ সন্ধ্যের দিকে, বঙ্গবন্ধু সহধর্মিনী এলেন বেগম বদরুন্নেসার বাসায়। বেগম মুজিবকে মামী বলেই ডাকতেন নাসরীন আহমাদ। বেগম মুজিব এসে জানিয়ে গেলেন, আজ রাতও কিন্তু খারাপ। তিনি আরো বললেন তারা থাকবেন না এ বাসায়। নাসরীন আহমাদকে বেগম মুজিব বললেন, তোরাও থাকিস না। সেই রাতে পালিয়ে যেতে গিয়ে পাশের এক বাসায় নাসরীন আহমাদ ও তাঁর পরিবার রেডিওতে খবরে জানতে পারেন, শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আর আওয়ামী লীগ ব্যান করা হয়েছে। ২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে পুরো পরিবারটি উঠলো পাশের ডাক্তার সামাদের বাসায়।

২৭ তারিখ কারফিউ তুলে নেয়া হলো। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামাদ সাহেবের বাসা থেকে বেগম মুজিবসহ বাকিদের নাসরীন আহমাদের বাবা মগবাজারে আরেকটি বাসায় রেখে আসলেন।

কিন্তু মগবাজারের ঐ বাসায়ও বেগম মুজিব খুব একটা নিরাপদ বোধ করলেন না। তারপর, মালিবাগে ভক্সওয়াগন গাড়ির একটি বড় গ্যারেজ ফ্যাক্টরি ছিলো। এর বিপরীতে একটা বড় গলির মুখের বাসাটাই থাকতেন বেগম মুজিবসহ সকলে। সেখানেও গোয়েন্দারাও নিশ্চিতভাবেই পরিবারটির উপর চোখ রাখছিল। কারণ তারা দেখছিলো পরিবারটি খুব বেশি নড়াচড়া অর্থাৎ স্থান বদল করছে। তখন মালিবাগের বাসা থেকেই পরে বেগম মুজিবসহ পুরো পরিবারটিকে গ্রেফতার করে নেয়া হয় ধানমন্ডি ১৮ নাম্বার রোডের একটা বাড়িতে। বিজয়ের আগ পর্যন্ত সেখানেই তাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

মাহবুব স্মারক, বিশেষ প্রতিনিধি, একাত্তর টেলিভিশন।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর