Sunday 04 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো: নুরুল কবীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ মে ২০২৫ ১৩:৪৮ | আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ১৬:৫৮

ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলো গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রধান শক্তি- বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদ এর সহ-সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির।

রোববার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নুরুল কবির বলেন, সারাবিশ্বে যখন ঘটা করে গণমাধ্যম মুক্ত দিবস পালন করতে হয়, তখন বুঝতে হবে যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন খর্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বিগত সময়ের চেয়ে এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক, বাংলাদেশ এখনো সেই সূচকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশের সাথে যে অসম চুক্তি রয়েছে, তা এখনও রিভিউ করার কোন উদ্যোগ দেখিনি। বরং আমরা দেখছি যে, যারা আন্দোলন করেছে, তারা ১৬ ডিসেম্বর মানে না- এর দায় কাদের? নারী সংস্কার কমিশন মানে না- এর দায় কাদের? একদিকে আমরা যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি, অন্যদিকে আবার আশঙ্কাও দেখছি। যে কোনো সংস্কারের বটম লাইন হবে- স্বাধীনতা। ’৭১ কে ধরেই সব ধরণের সংস্কার হতে হবে।

সেমিনারে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন,  যে দেশে প্রশ্ন করার জন্যে সাংবাদিকদের চাকরি যায়, সেখানে গণমাধ্যম মুক্ত নয়। গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র হবে?- এমন প্রশ্ন তুলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ‍তিনি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রত্যেকের জবাবদিহিতা দরকার। গণমাধ্যম কতিপয় গোষ্ঠীর মালিকানার মাধ্যমে তাদের সেবা করার চর্চায় পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে উঠে। এমন কোন নীতিমালা থাকা যাবে না- যা গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরে। ভয়হীন সমাজ তৈরি করতে চাই। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না- যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে। সাংবাদিকদের এথিক্যাল জার্নালিজমের জন্যে নীতিমালা থাকা উচিত। মব আক্রমণ চলছে। ভয়ের চোটে চাকরি চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র যদি মব আন্দোলন বন্ধ করতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না।

বিজ্ঞাপন

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনাসভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ সম্পাদক পরিষদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর