ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে হুতি বিদ্রোহী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা সহ্য করব না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেব।’
সোমবার (৫ মে) সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অতীতেও ইরানের সমর্থনপুষ্ট (হুতি) বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল, ভবিষ্যতেও নেবে। এবারের হামলার (প্রতিশোধমূলক) পদক্ষেপ এক দফায় নেওয়া হবে না, বরং বেশ কয়েক দফায় নেওয়া হবে।’
পরবর্তীতে এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়া সময় ও অবস্থানে ইরানকে জবাব দেবে ইসরায়েল।’
এদিকে টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েল সফররত সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোদুলিদেসের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু উল্লেখ করেন, ‘আমরা এবং আমাদের সঙ্গে গোটা বিশ্ব এখন হুতিদের হুমকির মুখে। আমরা এটা সহ্য করব না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেব।’
‘আমাদেরকে সবসময় মনে রাখতে হবে যে, তারা (হুতি) তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের নির্দেশ অনুযায়ী ও তাদের সহায়তা নিয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা ইরানকে যথোপযুক্ত সতর্কবার্তা দেব এবং তা দেওয়ার জন্য যা করণীয়, তাই করব। তারা জানবে, আমরা এ ধরণের কার্যক্রম সহ্য করব না।’
এর আগে, রোববার (৪ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট দেন। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে শুরু করে হুতিদের কাছ থেকে আসা প্রতিটি গুলিকে ইরানের নেতৃত্বে, ইরানের অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ইরানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে এবং তাদেরকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা খুবই ভয়াবহ হবে!।’
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রশংসা করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একেবারে সঠিক কথা বলেছেন। হুতিদের হামলা মানেই ইরানের হামলা। ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হামলার উপযুক্ত জবাব পাবে হুতিরা।’
গতকাল (রোববার) ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি গোষ্ঠীর এই হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত ইয়েমেনে বোমা বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। হুতি-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জানায়, রোববার (৪ মে) ভোরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের আল-জাওফ ও মারিব প্রদেশে অন্তত ১৩টি হামলা চালিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৮ মাসে অন্তত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন নিহত হয়েছে এবং ২ মার্চ থেকে আরোপিত সম্পূর্ণ অবরোধে অন্তত ৫৭ জন না খেয়ে মারা গেছেন।