কক্সবাজারে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: এনসিপি’র নেতাসহ ৪ জন আটক
৫ মে ২০২৫ ১৩:৪৪
কক্সবাজার: কক্সবাজার সদরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এনসিপির স্থানীয় নেতা রাইয়ান কাশেমসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ মে) দিবাগত রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আল্লাওয়ালা নামে একটি হ্যাচারীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আলী আকবর কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
এই ঘটনায় আটকরা হলেন-রাইয়ান কাশেম, তার চাচা তানভীর কাশেম এবং হ্যাচারির নৈশ প্রহরী মোহাম্মদ হোসাইন ও মো. মিজান।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যুবককে বাড়ী থেকে তুলে এনে মাছ চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষের লোকজন ভিন্ন তথ্য দিয়ে বলছেন, আল্লাওয়ালা হ্যাচারিতে চুরির সময় ধরা পড়ে ওই যুবক। পরে হ্যাচারির নৈশ প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে প্রতিহামলায় ওই যুবক মারা যায়।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর রাত ১টায় মরদেহ উদ্ধারের সময় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে উত্তেজিত জনতা হ্যাচারীর মালিকের ছেলে রাইয়ান কাশেমকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে, রাইয়ান কাশেম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির কক্সবাজারের সক্রিয় নেতা। রাইয়ানের এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে।
পরিবারের দাবী, মাছ চুরির অপবাদে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে হামলার আগে গণমাধ্যমে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম দাবী করেন, তাদের হ্যাচারীতে চুরির করার সময় আলী আকবরকে হাতেনাতে ধরেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। পরে আলী আকবর আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা প্রহরীরা পালটা আঘাত করে। এতে মারা যান তিনি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক রাইয়ান কাশেম, তানভীর কাশেম, হোসাইন ও মিজান নামের চারজনকে আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে জনরোষ থেকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে মামলায় আসামি করা হবে।
নিহতের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ