মেট্রোরেল: বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া হচ্ছে ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার স্টেশনে
৭ মে ২০২৫ ১৫:১৫ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ১৭:৪২
ঢাকা: শপিং মল কিংবা অফিস বা বাসা বাড়ির মধ্য দিয়েও মেট্রোরেল চলে যাচ্ছে এমন দৃশ্য বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে।আবার মেট্রো স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট বড় শপিং মল। সীমিত পরিসরে বাংলাদেশে চালু হওয়া মেট্রোস্টেশনগুলোতে এই ব্যবস্থা বা উদ্যোগ দেখা না গেলেও এবার দুইটি স্টেশনে এমন চিন্তা করা হচ্ছে। ডিএমটিসিএল কারওয়ানবাজার ও ফার্মগেট স্টেশনে বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া দিতে চায়।
এরই মধ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড- ডিএমটিসিএল তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত মোট ১৬ টি স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যো ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার স্টেশন তিন তলা বিশিষ্ট। এই স্টেশন দুইটির দ্বিতীয় তলার মোট আয়তনের প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট ফাঁকা রয়েছে। এটিই বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ডিএমটিসিএল।
সম্প্রতি সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬ এর ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ২৫ হাজার বর্গফুটের রিটেইল ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল এর বানিজ্যিক স্পেস ভাড়া বা ইজারা নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী এই ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। ফ্লোর ভাড়া নেওয়ার জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিএমটিসিএলএর অনুকূলে প্রতি স্টেশনের জন্য ১০ হাজার টাকার পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
আরও বলা হয়, আবেদন সংগ্রহের সময় নির্ধারন করা হয়েছে ৪ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত। অফিস চলাকালীন সময়ে উত্তরা দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেল ভবনের ৭৩১ নম্বর রুমে (লেভেল-৭) থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আর এ আবেদন ১৫ জুন বেলা তিনটা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে ডিএমটিসিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.dmtcl.gov.bd ভিজিট করার আহবান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শপিং মল, ডেইলি শপ, ব্যাংক, অফিস বা অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে। ভাড়ার প্রস্তাবে বলা হয়েছে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের মত বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সীমিত পরিসরে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। এরপর ২০২৩ সালে ২০ কিলোমিটার পথ পুরোটাই চালু হয়। ডিএমটিসিএল সুত্র বলছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয় ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ সালে আয় হয় ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। তবে এই আয় দিয়ে মেট্রোরেল পরিচালনার খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনার খরচের পাশাপাশি জাইকার কাছ থেকে নেওয়া ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ঋন পরিষোধ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আয়ের উৎস হিসেবে স্টেশনের বাড়তি স্পেস ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি