চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) মূল ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন কয়েক’শ পোশাক শ্রমিক। তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে তারা বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মূল ফটক শ্রমিকরা অবরুদ্ধ করে রাখায় সিইপিজেডে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে না। ভেতরে থাকা পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সিইপিজেডের দুই নম্বর সড়কের থিআনিস এ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
জানা গেছে, কারখানাটিতে প্রায় ৮০০ শ্রমিক কাজ করেন। সকালে কারখানা থেকে বেরিয়ে শ্রমিকরা প্রথমে বেপজা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা সিইপিজেডের মূল ফটক অবরুদ্ধ করেন। পরে সেটি বন্ধ করে দিয়ে এখন সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

শ্রমিকরা অবরুদ্ধ করে রাখায় সিইপিজেডে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে না।
থিআনিস অ্যাপারেলসের স্যাম্পল মেকার মো. জাহিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। রমজানের সময় আমাদের বেতন দেওয়া হয়নি। ঈদের সময় বেতন-বোনাস কিছুই দেয়নি। একবার ২০ এপ্রিল, আরেকবার ২৪ তারিখ, এরপর ৫ মে বেতন দেবে বলে এভাবে করে আমাদের খালি ঘোরাচ্ছে।’
‘সর্বশেষ গতকাল (বুধবার) আমাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের কোনো দেখা নেই। বেতন দেয়নি। কারখানায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।’
জানতে চাইলে শিল্পাঞ্চল পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে বেতন দিচ্ছে না। গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত পাঁচবার সময় নিয়েছে, কিন্তু বেতন দেয়নি। কারখানায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ শ্রমিক কাজ করে। বেতন না পেয়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’
‘আমরা এবং বেপজা কর্তৃপক্ষ কয়েকবার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উনি কোনোসময় কল রিসিভ করেন না, কোনোসময় টাইম দিয়ে দেখা করেন না, আবার কখনও শুধু সময় নেন। সর্বশেষ বললেন উনার ছেলে হার্ট অ্যাটাক করেছে। কিন্তু এটার সঙ্গে তো শ্রমিকের বেতনের কোনো সম্পর্ক নেই। উনি ইচ্ছে করে আনরেস্ট তৈরি করছেন কী না সেটা আমরা দেখছি।’
এসপি মাহমুদ আরও বলেন, ‘ইপিজেডের মেইন গেট বন্ধ করেছে শ্রমিকরা। আমাদের টিম সেখানে আছে। সেনাবাহিনীও আছে। তাদের সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।’