Thursday 08 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালাস চেয়ে এটিএম আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২৫ ১৩:১১ | আপডেট: ৮ মে ২০২৫ ১৫:২০

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম।

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের রায় আগামী ২৭ মে ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ দিন ধার্য করন।

এদিন সকাল ১০টার কয়েক মিনিট আগে দ্বিতীয় দিনের মতো এটিএম আজহারের শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

শুনানিতে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ওনাকে বাঁচিয়ে না রাখলে আমরা আজ আপনাদের কাছে আসতে পারতাম না। সময়ের কারণে হয়তো তিনি বেঁচে আছেন।

গত ৬ মে সকাল ১০টায় এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু হয়। ওই দিন আধাঘণ্টা বিরতি দিয়ে সোয়া ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারকে আপিলের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের এটিই প্রথম কোনো মামলা, যে মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান এটিএম আজহার। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে একই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এই জামায়াত নেতা। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার ওই আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/ইআ

এটিএম আজহারুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর