ঢাকা: শেখ হাসিনার মতো বর্তমান সরকারও ন্যারেটিভ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কলেজটির ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘একটা দায়িত্বশীল নির্বাচিত সরকার থাকলেই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি থাকে; যেটি শেখ হাসিনার ছিল না। কারণ, তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন, তিনি গণতন্ত্র মানেননি। গণতন্ত্রের চর্চা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান— এগুলো কোনো কিছুই তার কাছে কোনো ধর্তব্যের বিষয় ছিল না। নাশকতার কথা বলে, জঙ্গির কথা বলে এই কাজগুলো করেছে শেখ হাসিনা। এখনো নানাভাবে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। তাহলে তো সেই শেখ হাসিনারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যদি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে শাক সবজির দাম, মুরগির দাম যে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জন্য জনগণ তাদের কাছে জবাব চাইত। কিন্তু এই সরকারের তো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা শুধু বলছে আগে সংস্কার হোক, তারপরে নির্বাচন। গতকাল রাজধানীর আদাবর এলাকায় সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না। এর জন্য আমরা কাকে বলব? নির্বাচিত সরকার থাকলে, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র যারা থাকেন তাদের মধ্যে একটা দায়বদ্ধতা থাকে। ভবিষ্যতে ভোটের আশায় তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করে। এই সরকারের তো কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’
রিজভী বলেন, ‘খুনের আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি চলে গেলেন। নানা কথা আমরা নানা দিক থেকে শুনতে পাচ্ছি। বিএনপি কোনো কথা বললেই নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়। বিএনপি তো গণতন্ত্রের প্রশ্নে বরাবরই আপসহীন। যার কারণে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় মার খেয়েছে, গুম হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫-১৬ বছর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অদ্ভুত অন্তর্বর্তী সরকার। অদ্ভুত অন্তর্বর্তী সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা ১৫-১৬ দিন আগে গুম হওয়া সুমনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে অথচ খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়েছে, সেদিকে তাদের দৃষ্টি নেই। সরকার প্রকারন্তরে কোনো না কোনোভাবে ফ্যাসিস্টদেরকে, স্বৈরাচারদেরকে পুনর্বাসন করছেন কিনা, এটা নিয়ে কিন্তু জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির ও ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদ আওয়াল প্রমুখ।
