Saturday 10 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরিশোধিত মূলধনের অর্ধেকের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না ব্যাংক পরিচালকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২৫ ১৭:২৮ | আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ১৯:১৮

ঢাকা: কোনো ব্যাংকের পরিচালক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না এবং ১ কোটি টাকার অধিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি লাগবে। একই সঙ্গে জামানতবিহীন ঋণ বা অগ্রিম নিতে পারবেন না ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারাও (সিইও)। পরিচালক সংশ্লিষ্ট সরাসরি বা সুবিধাভোগীদের ঋণের হিসাব আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত ‘ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন’ শীর্ষক নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

ব্যাংক খাতে সুশাসন ও ঋণ বিতরণে অনিয়ম প্রতিরোধে ব্যাংকের পরিচালক ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেওয়া কঠোর করতে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, পরিচালকদের ৫০ লাখ টাকার অধিক প্রত্যক্ষ ঋণ অথবা ১ কোটি টাকার বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণের সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে যেকোনো নবায়ন, পরিবর্তন বা জামানতের সমন্বয়ও অন্তর্ভুক্ত। আবেদনপত্রের সঙ্গে সিআইবি রিপোর্ট, পর্ষদের অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের তুলনায় ন্যায্য আচরণের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং বিদ্যমান সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে জমা দিতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার টিয়ার–১ মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি ঋণ কোনো একক বা সম্মিলিতভাবে ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না। এই সীমা লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে এবং একটি সংশোধনমূলক কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে হবে। যদি ঋণ নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তবে অতিরিক্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক ও পর্ষদকে জানাতে হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। এ ধরনের লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুস্পষ্ট অনুমতি ছাড়া নবায়ন বা পরিবর্তন করা যাবে না।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ক্ষেত্রে নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংক তাদের বা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বা তাদের সঙ্গে যুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনো প্রকার জামানতবিহীন ঋণ বা অগ্রিম দিতে পারবে না। যেহেতু এমডি ও সিইওরা চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা, তাই তারা কর্মচারী ঋণ প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকবেন। যদিও বিদেশি ব্যাংকের দেশীয় প্রধানেরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুসরণ করতে পারবেন। সাধারণ গ্রাহকের শর্তে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে, তবে তা ইস্যুর কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়া এমডি/সিইও বা তাদের সহযোগীদের কোনো প্রকার আসল বা স্বীকৃত আয় (সুদ বা মুনাফা) মওকুফ করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নতুন এ নীতিমালার মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালক সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বেনামি ও সুবিধাভোগীদের ঋণ হিসাবের আওতায় আসবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এসব ঋণ আগমীতে কমে আসবে বলে আশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সারাবাংলা/আরএস

বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার